রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি স্থিতিশীল রাখতে স্টিলের পাইপ বসানোর কাজ এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ৯টা থেকে এ কাজ শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভবনে ছয়টি স্টিলের পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আরও ১০টি পাইপ বসানো হবে।
Advertisement
রাজউক সূত্র জানিয়েছে, ভবনটি ভাঙা হবে নাকি সংস্কার করা হবে- এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত ভবনের নিচতলার ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলোর পাশে স্টিলের পাইপ দিয়ে অস্থায়ী সাপোর্ট (দাঁড় করিয়ে রাখ) দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভবনটি ধসে না পড়ে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে ঘটনাস্থলের সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনে রাজউকের প্রোপিংয়ের কাজ চলছে। কাজ যাতে নির্বিঘ্নে করা যায়, সেজন্য ভবনের সামনের রাস্তা দুই দিক দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে রাজউকের পাশাপাশি র্যাবের টিমও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে স্টিলের পাইপ ‘ঠেকনা’ দিচ্ছে রাজউক
Advertisement
ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কলামে স্টিলের পাইপ দিয়ে অস্থায়ী সাপোর্ট (দাঁড় করিয়ে রাখার ব্যবস্থা) দেওয়া হয়েছে। ভবনের সামনের অংশের ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলোর পাশে ওই পাইপগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এরইমধ্যে ছয়টি পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আরও অন্তত ১০টি পাইপ স্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, ভবনের ২৪টি কলামের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। এজন্য উদ্ধার অভিযান শেষ করে ভবনটি বুঝিয়ে দিতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশন। এমন পরিস্থিতিতে সবার আগে ভবন স্থিতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক।
আরও পড়ুন: বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও একজনের মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ২৩
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শুরুর সময় রাজউকের কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকালের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে। তবে বিকেল ৪টা নাগাদ অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি রাজউক।
Advertisement
কাজের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভবনটিতে আমরা প্রোপিং (সাময়িক স্থিতিশীল) করার চেষ্টা করছি। এ কাজ কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। এখানে আরও বেশ কিছু পাইপ রয়েছে। এগুলো স্থাপন করতে আগামীকাল (শনিবার) পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর রাজউক ও বুয়েটের ইঞ্জিনিয়াররা ভবনটি পরিদর্শন করবেন। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন, ভবনটি ভাঙা হবে নাকি সংস্কার করা হবে।’
আরএসএম/এএএইচ/এএসএম