রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনীতে ক্যাম্পাসে হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডায় মেতে উঠেছেন সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। অ্যানথ্রপলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনেরর আয়োজনে দুদিনব্যাপী এ পুনর্মিলনীতে অংশ নিচ্ছেন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
Advertisement
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
অ্যানথ্রপলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমীনা নাজনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ভেতর ও বাইরে ব্যানার ফেস্টুন এবং বর্ণিল আলোক সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
Advertisement
পরে বিভাগটির সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, রবীন্দ্র ভবন, প্যারিস রোড, প্রশাসন ভবনসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগের সামনেই মিলিত হন তারা। এরপরে শুরু হয় আলোচনা সভা।
১০ম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আজিবুল হক পার্থ বলেন, দীর্ঘদিন পর বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনীতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বিভাগের সিনিয়র ভাই ও আপুদের পেয়ে এবং জুনিয়রদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে ভালো লেগেছে। ভালোবাসার এ বন্ধন (বিভাগ) এভাবেই আমাদের আজীবন কাছে রাখবে।
১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাঈদ মাসুম। তিনি বলেন, নৃবিজ্ঞান বিজ্ঞান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জীবনভর এক উদ্দীপ্ত অনুভূতির নাম। প্রকৃতির নিয়মে এক রৌদ্রজ্জ্বল স্বপ্নিল যাত্রার যে ইতি স্মৃতির পাতাকে খানিক স্তিমিত করেছিল। প্রথম রিইউনিয়নে উপস্থিত থাকতে পেরে সেটা কাটিয়ে নতুন উদ্যম সঞ্চারিত হলো। চিরযৌবনা নৃবিজ্ঞান করিডোরের ছোঁয়া পেতে বারবার অপেক্ষায় থাকব।
আয়োজন নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মশিউর রহমান সজল বলেন, আমরা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই আয়োজনটি সম্পন্ন করেছি। চেষ্টা করেছি সবার চাওয়া পাওয়াগুলো পূরণ করার।
Advertisement
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক তাহমীনা নাজনীন জাগো নিউজকে বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রাণ সাবেক ছাত্র-ছাত্রীরা। আপনারা দূরদূরান্ত থেকে এসে অনুষ্ঠানটি যেভাবে প্রাণবন্ত করেছেন তাতে আমি ধন্য। পাশাপাশি বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের সিনিয়রদের বরণ করে নেওয়ার জন্য যে উদ্দীপনা দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত।
মনির হোসেন মাহিন/এসজে/এমএস