দেশজুড়ে

আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গাছে গাছে এখন আমের মুকুলের সমারোহ। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছের ডাল। ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাস। সবুজে সোনালী রঙের অপরূপ সাজ নজর কাড়ছে বাগানগুলোতে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কোনো চিত্রশিল্পী হয়তো রং-তুলি দিয়ে ছবি এঁকে রেখেছেন। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ভালো ফলনের আশা করছেন এখানকার আমচাষিরা।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ের ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমি আছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ হয়। এর মধ্যে ২০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়ে থাকে।

সোনারগাঁয়ে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষাবাদ ছাড়াও অনেকেই বাড়িতে বাড়িতে গাছ লাগিয়েছেন। এতে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে আম বিক্রি করে আর্থিক লাভবানও হওয়া যায়।

Advertisement

বর্তমানে আমের মুকুলে গাছগুলো সোনালি রঙ ধারণ করেছে। চাষিরা আমগাছের পরিচর্যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের আলমদী গ্রামে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আম চাষ করে আসছেন হুমায়ুন কবির নামের এক যুবক। তিনি বলেন, এবার ৫০টির অধিক গাছে আমের মুকুল হয়েছে। আশা করছি গতবারের তুলনায় এবার বেশি আয় হবে। সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নে তুলনামূলক আমের চাষ বেশি হয়।

আশরাফুল আলম নামের আরেক আমচাষি বলেন, প্রত্যেকটি গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। প্রতিদিন আমি গাছগুলোর যত্ন নিচ্ছি। নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করছি। কারণ মুকুলের সঠিক পরিচর্যার ওপর আমের ভালো ফলন নির্ভর করে। গতবার আমার বাগানের গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছিল। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির কারণে আশানুরূপ আম পাইনি। এবার এখন পর্যন্ত এমন কোনো ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। শেষ পর্যন্ত এমন থাকলে এবার সবচেয়ে বেশি আমের আশা করছি।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আম অতি পুষ্টিকর ফল। বিশেষ করে সোনারগাঁয়ের আম সুমিষ্ট। এবার সোনারগাঁয়ের প্রতিটি ইউনিয়নের আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। পাশাপাশি এবারের আবহাওয়া ভালো থাকায় গতবারের তুলনায় এবার আমের ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমচাষিদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো পরামর্শ কিংবা সহযোগিতার প্রয়োজন থাকলে আমরা তা করে থাকি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গতবছর সরকার থেকে পোকামাকড় দমনের জন্য আমাদের কয়েকটি মেশিন দিয়েছিল। যা কেনা আমচাষিদের জন্য কষ্টসাধ্য ছিল। আমরা মেশিনগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নে দিয়েছি। এছাড়া সরকার থেকে যেকোনো অনুদান এলে আমরা তা সুষম বণ্টন করে আমচাষিদের দিয়ে দেই।

এসজে/জিকেএস