কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত সুলতান’স ডাইনে দুই দফা অভিযান চালানো হয়।
Advertisement
প্রথমে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায়। এসময় মাংস কোথা থেকে আনা হচ্ছে এ বিষয়ে ‘সন্তোষজনক’ উত্তর দিতে পারেনি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। তবে ওই রেস্তোরাঁয় অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নজরে আসে অভিযানকারীদের।
আরও পড়ুন: ‘ভেজাল খাবারে ৪৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে’
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে গুলশান-২ এর সামসুদ্দিন ম্যানশনের সুলতান’স ডাইনের একটি শাখায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পরিচ্ছন্নতাসহ বেশকিছু কারণে সুলতান’স ডাইনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
একই সঙ্গে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষকে সোমবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডির আড্ডা রেস্টুরেন্টে ভেজাল খাবার, লাখ টাকা জরিমানা
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আমরা ফেসবুক থেকে বিষয়টা জানতে পেরেছি। রেস্তোরাঁর কাচ্চিতে দেওয়া মাংস কোথা থেকে আনা হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। এজন্য তাদের আগামী সোমবার অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। কোনো অনিয়ম পেলে রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকর প্রভাব
Advertisement
এদিকে অভিযানে শেষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-সচিব) মো. কাউছারুল ইসলাম সিকদার বলেন, আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, সুলতান’স ডাইনের খাবারে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো তদারকি করছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে অভিযান চালানো হয়। এসময় অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিশেষ করে কিচেনের কিছু অংশ বেশ অপরিচ্ছন্ন মনে হয়েছে। পরিষ্কারের জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে ২০ মার্চ পর্যন্ত। পরে আবারও পরিদর্শনে এসে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে কি না তা দেখা হবে।
এনএইচ/জেডএইচ/জেআইএম