ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে এর আগে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে সঙ্গী হয়েছিল হার।
Advertisement
তবে এবার আর ভুল করেনি টাইগাররা। দ্বিতীয় দেখাতেই ইংলিশদের নাকাল করে ছেড়েছে। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৬ উইকেট আর ২ ওভার হাতে রেখে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং-বাংলাদেশ আজ তিন বিভাগেই ছিল অনন্য। ১৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৩৫। সংগ্রহটা বেশ বড় হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেন হাসান মাহমুদ। ভালো করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরাও।
১৭ থেকে ১৯-এই তিন ওভারে মাত্র ১২ রান নিতে পেরেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে হাসান মাহমুদের দুই ওভারে ইংলিশরা তুলতে পারে মাত্র ৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানেই থামতে হয় জস বাটলারের দলকে।
Advertisement
এরপর ব্যাটিংয়েও দারুণ পরিণত দেখিয়েছে বাংলাদেশকে। আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার ওপেনিংয়ে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ও খেলেন কার্যকর একটা ইনিংস। অধিনায়ক সাকিবও ভালো ব্যাটিং করেছেন, তাকে সঙ্গ দিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ টিম পারফরম্যান্স, অধিনায়ক কতটা খুশি? ম্যাচ শেষে সাকিব বললেন, ‘হ্যাঁ খুব খুশি। যেভাবে আমরা ম্যাচে অ্যাপ্রোচ দেখিয়েছি, তা অসাধারণ ছিল। এর চেয়ে বেশি কিছু দলের থেকে চাইতে পারি না।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন সাকিব। কিন্তু প্রথম ওভারেই ৯ রান তুলে নেয় ইংলিশরা। তাসকিন আহমেদের করা পরের ওভারে যোগ হয় আরও ৯।
তারপরও যে বোলাররা ভয় পাননি, দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন, এতেই সন্তুষ্ট সাকিব। টাইগার দলপতি বলেন, ‘বোলিংয়ে আমরা প্রথম ওভারে কিছুটা চাপে ছিলাম। কিন্তু কেউ প্যানিক হইনি। প্রত্যেকে জানত তাদের কি করা লাগবে। প্রত্যেক বোলার নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির ছিল। আমার ড্রপ ক্যাচ বাদে প্রত্যেকে ভালো ফিল্ডিং করেছে।’
Advertisement
এমএমআর/জেআইএম