ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী কঠিন ব্যাধি। এক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
Advertisement
ইনসুলিন একটি হরমোন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করে না, সেক্ষেত্রে বেড়ে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা।
আরও পড়ুন: মুখে যে লক্ষণ দেখলে ধূমপায়ীরা সতর্ক হবেন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনা জরুরি। বিশেষ করে খাবারের দিকে যত্ন নিতে হয়।
Advertisement
জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা বলছে, বেগুনি রঙের সবজি বা ফল খেলে ডায়াবেটিস সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকি ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী এই খাবারগুলো।
মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস সঠিকভাবে পরিচালনা করা না হলে এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর ক্ষতি, চোখের ক্ষতি, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, কিডনি রোগ, পায়ের সমস্যা সহ অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিম খেয়েই বশে রাখুন ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল
বেগুনি ফল ও সবজি কীভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে?
Advertisement
গবেষকদের দাবি, বেগুনি রঙের ফল ও সবজি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বা প্রতিরোধ করতে পারে, এর কারণ হলো বেগুনিরঙা খাবারে পলিফেনলের পরিমাণ বেশি থাকে।
পলিফেনলের একটি বিশেষ শ্রেণী ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ এর কারণেই ফল বা সবজি লাল, কমলা, নীল বা বেগুনি রঙের হয়। এনসিবিআই স্টাডিজে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে, অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে বেরি খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কম ঝুঁকি কমে।
ইঁদুরের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, কালো চাল থেকে প্রাপ্ত নন-অ্যাসিলেটেড অ্যান্থোসায়ানিন অন্ত্রে কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আকারম্যানসিয়া মিউসিনিফিলা।
আরও পড়ুন: চিয়া সিড খেলেই কমবে ওজন, সারবে কোষ্ঠকাঠিন্য
টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে এমন ইঁদুরের মধ্যে ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধি ও গ্লুকোজ বিপাক উন্নত করতে মিউসিনিফিলার প্রভাব দেখেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বেগুনি মিষ্টি আলু ও আঙুরের মতো খাবারে পাওয়া অ্যাসিলেটেড অ্যান্থোসায়ানিন অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়। এটি অন্ত্রে ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়িয়ে তাদের সুস্থ রাখে।
গবেষণার তথ্য অনুসারে, গবেষকরা দুই সপ্তাহ ধরে ডায়াবেটিক ইঁদুরকে মালবেরির রস দিয়েছিলেন। ননসিলেটেড অ্যান্থোসায়ানিন পাওয়া যায় এতে। তারা দেখেন, দুই সপ্তাহ পর ইঁদুরের রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায় ৩০ শতাংশ কম ছিল।
জেএমএস/এমএস