লাইফস্টাইল

বাবা-মায়ের যে ভুলে সন্তান রাগী ও জেদি হয়ে ওঠে

সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে কখনো কখনো কঠোর হতে হয় আবার কখনো ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে হয়।

Advertisement

তবে কর্মব্যস্ত এই জীবনে বেশিরভাগ বাবা-মা ছোটখাট যে কোনো বিষয় নিয়েই সন্তানের উপর রেগে চিৎকার করেন কিংবা বকাবকি করে বসেন।

আরও পড়ুন: শিশু অতিচঞ্চল ও অমনোযোগী হয়ে ওঠে যে রোগের কারণে

জানলে অবাক হবেন, আপনি যতই ভালোবাসুন না কেন আপনার চিৎকার, চেঁচামেচি ও বকাবকি শিশুর মনে রাগ ও জেদের সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার নিজের ভুলগুলো মেনে নেওয়া জরুরি।

Advertisement

না হলে যত দিন যাবে শিশু আরও রাগী ও জেদি হয়ে উঠবে। আর আপনার শাসনেও কাজ হবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেই অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন আনা জরুরি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার কোন কোন ভুলে শিশু আরও জেদি হয়ে ওঠে ও কীভাবে তার সমাধান করবেন-

আরও পড়ুন: শিশুর সঠিক বিকাশ হচ্ছে কি না বুঝে নিন ভাষা শুনেই

শিশু নির্যাতন

Advertisement

আপনি যদি সন্তানের সঙ্গে নম্র গলায় কথা না বলে সব সময় বকাবকি বা চিৎকার করে কথা বলেন তাহলে সন্তানও আপনার ব্যবহার অনুকরণ করার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে আপনার রাগ ও ক্ষোভ শিশুমনেও রাগের জন্ম দেয়।

এভাবেই ধীরে ধীরে শিশু অবাধ্য ও জেদি হয়ে ওঠে। মনে রাখবেন, আপনি যদি সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে সন্তানও আপনার কাছ থেকে ইতিবাচক আচরণ শিখবে।

মেজাজ শৃঙ্খলা

আপনার সন্তান যদি রাগান্বিত হয়, তবে কিছুক্ষণ পরেই তাকে শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে। আপনি যদি তাকে খারাপ মেজাজে কিছু শেখান তবে সে আরও বেশি বিরক্ত হবে।

আরও পড়ুন: একনাগাড়ে হাঁচি হলে থামাবেন যেভাবে

এছাড়া মনে রাখবেন, আপনি যদি রাগান্বিত হন তবে প্রথমে শান্ত হন ও পরে তাকে শৃঙ্খলার জ্ঞান দিন।

একঘেয়েমি

আপনি যদি সারাদিন শিশুর সামনে একই বিষয় নিয়ে কথা বলেন তাহলে সে বিরক্ত হয়ে যাবে ও আরও জেদি হয়ে উঠবে। তাই একই বিষয় নিয়ে শিশুকে বারবার জেরা করবেন না, তাহলে তাদের মেজাজ নষ্ট হতে পারে।

বাড়ির পরিবেশ

যদি আপনার বাড়িতে নেতিবাচক পরিবেশ থাকে ও সারাক্ষণ মারামারি, ঝগড়া বা উত্তেজনা দেখা দেয়, তাহলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব শিশুর ওপরও পড়ে।

আরও পড়ুন: মুখে ঘা হয় কেন? সারানোর উপায় জানুন

এ ধরনের শিশুরা ঘরের বাইরেও রাগ করে থাকে এমনকি মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে।

বাবা-মায়ের আচরণ

যদি বাবা-মায়েরা একে অপরের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলে ও শিশুদের সামনে একে অপরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাহলে শিশুর ব্যক্তিত্বেও ভালো প্রভাব পড়ে।

আরও পড়ুন: নখ দেখেই বুঝে নিন শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না

যখন কোনো অভিভাবক তাদের সন্তানদের একে অপরের সঙ্গে তুলনা করে, তখন সন্তানের মনে রাগ-ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নেতিবাচক কথা বলা

আপনি যদি সব সময় সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে শিশুর মনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে শিশুও সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

সূত্র: প্রেসওয়ার ১৮

জেএমএস/এএসএম