জাতীয়

ভবনের বেজমেন্টে মানুষ আটকে থাকতে পারে, ধারণা পুলিশের

রাজধানীর গুলিস্তানে যে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে ওই ভবনের বেজমেন্টে মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

Advertisement

তিনি বলেন, ভবনের বেজমেন্টে উদ্ধার চালাতে এক্সেভেটর প্রয়োজন। এরই মধ্যে এক্সেভেটর কল করা হয়েছে। এখন ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে হবে। ভবনের মধ্যে কেউ আটকা থাকলে তাদের উদ্ধার করতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিপ্লব কুমার।

কারও গাফিলতিতে যাতে উদ্ধার কাজে বিলম্ব না হয় এজন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ঘটনার পরপরই সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, এখন আমরা উদ্ধারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

Advertisement

এখন পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন- এমন প্রশ্নে বিপ্লব কুমার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি ১০জন নিহতের কথা বলা হয়েছে। অসংখ্য আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। ভবন দুটিতে কেউ আটকা পড়ে আছেন কি না- তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস তন্নতন্ন করে খুঁজছে।

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে কি না- এমন প্রশ্নে ডিএমপির এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, এ বিষযে আমরা এখনই মন্তব্য করতে পারবো না। এখানে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, সেগুলো সরানোর কাজ চলছে। আশপাশের ভবন, মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অসংখ্য জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। তাদের মধ্যে দুজন নারী। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।

Advertisement

আরএসএম/কেএসআর/এএসএম