রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের কারণ ও উৎস সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নানা তথ্য দিয়েছেন।
Advertisement
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শাহজালাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাশের একটা মার্কেটে কাজ করছিলাম। বিকেলে হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হলো। তারপর বের হয়ে এসে দেখি মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে আর হাউকাউ করছে। একটা গ্যাঞ্জামের মতো অবস্থা। অনেকের গায়ে রক্ত। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ তুলছেন দেখলাম।’
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলিস্তানে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার এমন বর্ণনা দেন শাহজালাল।
তিনি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ বিকট একটি শব্দ হয়। এসে দেখি মানুষ পড়ে আছে, চিল্লাচিল্লি করছে। লোহার গেট, ভবনের দেওয়াল ভেঙে রাস্তায় পড়েছে। একটা বাস ওই ভবনের সামনে ছিল। বাসের যাত্রীদের অনেকেই আহত হয়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।’
Advertisement
শাহজালাল আরও বলেন, ‘আমি নিজে একজন আহত ব্যক্তিকে রিকশায় তুলে দিয়েছি। তার শরীর দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে অনেক লোকজনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।
বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।
Advertisement
আরএসএম/কেএসআর/এএসএম