জাতীয়

গুলিস্তানে বিস্ফোরণে হতাহত বাড়ছেই, নিহত ১১

রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত বাড়ছেই। সর্বশেষ আরও দুজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ জনে। তাদের মধ্যে দুজন নারী। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৫০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বিস্ফোরণের পর ভবন থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে বিকেল ৪টা ৫৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে। বর্তমানে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছে।’ এ বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Advertisement

সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।

বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।

আরএমএম/কাজী আল-আমিন/এএএইচ/এমএস

Advertisement