দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এখনই সঙ্গী-সাথি গোছাতে শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাটিক নেতা জো বাইডেন। দলের ভেতর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন এমন নেতাদেরও পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন তিনি।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) শিগগির একটি ‘জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ড’ গঠন করবে এবং এতে বিভিন্ন ধরনের উঠতি-তারকা রাজনীতিবিদ থাকবেন।
শোনা যাচ্ছে, এই বোর্ডে ইলিনয়েসের গভর্নর জেবি প্রিটজকার, পেনসিলভানিয়ার জোশ শাপিরো, নিউ জার্সির ফিল মারফিও থাকতে পারেন। এই নেতারা আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হওয়ার আগ্রহপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা আশানুরূপ ফলাফল করতে না পারার পর থেকে অনেকটাই আড়ালে গেছেন তারা।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন বাইডেন। তবে পরিস্থিতি বিশেষ এর দিনক্ষণ পিছিয়ে যেতে পারে।
Advertisement
নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে জো বাইডেন আরও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ২০২৪ সালের পার্টি কনভেনশনের জন্য স্থান নির্ধারণে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এই কনভেনশনেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী মনোনীত হতে পারেন বাইডেন। প্রাথমিকভাবে শিকাগো ও আটলান্টাকে কনভেনশনের সম্ভাব্য শহর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বাইডেনের প্রচারণা কৌশল যারা ঠিক করে দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তারাই থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ২০২০ প্রচারণা ব্যবস্থাপক জেন ও'ম্যালি ডিলনের নাম উল্লেখযোগ্য।
গত নভেম্বরে ৮০ বছরে পা দিয়েছেন জো বাইডেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, নেতাদের বয়স নিয়ে মার্কিনিদের স্বভাবত উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে, বাইডেনের বয়স নিয়ে ডেমোক্র্যাট ভোটাররা যথেষ্ট চিন্তিত।
Advertisement
তবে জরিপের এই ফলাফল অপ্রাসঙ্গিক দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্টের সহকারীরা। তাছাড়া, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতর থেকে এখন পর্যন্ত বাইডেনের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও আবির্ভূত হননি। ফলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন বলা যায়।
গত মাসে রয়টার্স/ইপসোস মতামত জরিপে বাইডেনের জনসমর্থনের রেটিং ছিল মাত্র ৪১ শতাংশ। এটি তার শাসনামলের সর্বনিম্ন রেটিংয়ের প্রায় সমান।
কেএএ/