দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জে চলে ওসমানীয় রাজত্ব: আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, সারাদেশের ৬৩ জেলা চলে একভাবে আর নারায়ণগঞ্জে চলে ওসমানীয় রাজত্ব। এ রাজত্বের মধ্যে প্রশাসন এখানে কিছুই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড নেই। তাদের যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়, সেভাবেই তাদের কাজগুলো হয়।

Advertisement

সোমবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার দশম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে শিশু সমাবেশ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে শহরের শেখ রাসেল পার্কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, যারা আসেন এই শহরে প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করতে, তারা কার হুকুম পালন করেন, সরকারের নাকি ওসমানীয় গডফাদারদের? শহরে হকার, যানজট দিনের পর দিন বাড়ছে। একের পর এক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রাস্তার ওপর এক হকার আরেক হকারকে মেরে ফেলছে। সেই খুনি হকার নেতা আবার আমাদের নেতার পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শোনে। কী অদ্ভুত যে পুলিশ চোখেও দেখে না!’

তিনি বলেন, ‘পুরো শহর হয়ে গেছে ওসমানীয় সাম্রাজ্য। এ সাম্রাজ্যে বসবাস করে আমরা গুটি কয়েক মানুষ শহরের সবাইকে নিয়ে যেভাবে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি, আমার মনে হয় আর বেশিদিন নেই অত্যাচারী, জুলুমবাজদের মসনদ খুব দ্রুতই ধসে পড়বে।’

Advertisement

আইভী বলেন, ‘মায়েরা বুঝতে পারেন সন্তান হারানোর বেদনা কী। ১০ বছর ধরে আমাদের সন্তানের বিচার চেয়েই যাচ্ছি। আমরা জানি না আর কতদিন চাইতে হবে। আমরা ঘাতককে জানি, ঘাতকের বাড়ি চিনি, ঘাতকের গুষ্টি সব চিনি। এ শহরের এমন কেউ নেই যে ঘাতককে চেনে না। কে চেনে না সেটাই এখন প্রশ্ন। কেন তাদের বিচার হবে না?’

স্বাধীনতার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ড শুরু হয়ে উল্লেখ করে নাসিক মেয়র বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে হত্যার রাজনীতি দেখে আসছি। এ হত্যাগুলো কাদের দ্বারা, কীভাবে, কখন, কেন সংঘটিত হয়েছে তা সবাই জানেন। এ শহরকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য, মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য, আরও বেশি নিজেদের জুলুম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজনমতো বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও খেলাঘর আসরের সভাপতি রথিন চক্রবর্তী প্রমুখ।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/জিকেএস

Advertisement