চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর ৪৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। সবশেষ রোববার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান লাল শর্মা (৫৫)।
Advertisement
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টায় সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম নায়হানুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, সীমা স্টিলের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ
কবে নাগাদ মামলা রেকর্ড হবে সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি। এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন মিটিংয়ে রয়েছি। মামলা কখন হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
Advertisement
এর আগে শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে কদমরসুলের কেশবপুর এলাকায় সীমা স্টিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা। ঘটনাস্থলের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিটকে পড়ে বিস্ফোরিত ইস্পাতের টুকরো। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় সাতজন নিহত হন। সবশেষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লাল শর্মা। এছাড়া আহত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৭ জন।
আরও পড়ুন: দাফন-কাফনে নিহতের পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা
রোববার দুপুরে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেছিলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি বিস্ফারণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। বিস্ফোরণের পর মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। আমাদের সঙ্গেও কেউ যোগাযোগ করেনি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে হতাহতের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
তখনও তিনি জানিয়েছিলেন মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Advertisement
ইকবাল হোসেন/জেডএইচ/জেআইএম