লালন ফকির বিশ্বাস করেছিলেন মানস শ্রেষ্ঠ। লালনের গানে বিশ্বমানবমৈত্রীর উপকরণ আছে। সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বৈরী যুগে লালনের গান হতে পারে প্রতিবাদের প্রতীক এবং মানুষের প্রতি হারানো বিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনার পরম পাথেয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
Advertisement
রোববার (৫ মার্চ) রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের স্মরণোৎসব (দোলপূর্ণিমা) অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লালন সাঁই জাত-ধর্মের সীমাবদ্ধতার বাইরে মানুষকে সবার ওপর তুলে ধরেছেন। মৃত্যুর ১৩৫ বছর পরও লালন সাঁই দেশ ও জাতির জন্য আজও সমান প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয় ও আধুনিক। মানুষকে শান্তির পথ দেখিয়েছে লালন সাঁইয়ের মানবতাবাদ ও বাউলতত্ত্ব। তার বাউল মতবাদ আজ বিশ্বে সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। বিশ্বে তাকে নিয়ে উন্নতর গবেষণা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে থাকা ভোলাই সাঁইয়ের লেখা লালনের গানের খাতা ফেরত পাওয়ায় এ অঞ্চলের বাউল গবেষকদের প্রাণের দাবি পূরণ হলো। এজন্য আমরা অধ্যাপক শক্তিনাথ ঝাঁ-এর কাছে তথা ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
Advertisement
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যাপক শক্তিনাথ ঝাঁ, লালন একাডেমির অ্যাডহক কমিটির সদস্য তাইজাল আলী খান, বিএমএ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু, বিশিষ্ট কবি ও লেখক আম আরা জুঁই প্রমুখ।
আল-মামুন সাগর/এসজে/জিকেএস