আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এবার সংলাপ সংলাপ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
Advertisement
তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যার বিচার এখনও হয়নি। কারণ সাগর-রুনি শতকোটি টাকা লুটের ঘটনা জেনে ফেলেছিলেন। তাই তাদের হত্যা করা হয়েছিল। তেমনিভাবে যখন হলমার্কের দুর্নীতি প্রকাশে এলো তখন রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটলো। এগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা সংযোগ রয়েছে।’
দেশে যখন সরকারের দুর্নীতির কোনো ঘটনা প্রকাশ পায়, তখনই সরকার পরিকল্পিতভাবে আরেকটা অঘটন ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়। এখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই সংলাপ সংলাপ খেলা খেলতে চাচ্ছে। ২০১৮ সালের এবার আওয়ামী লীগকে সেই সংলাপ সংলাপ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে নগরীর জামালখান রোডের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক অডিটোরিয়াম সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
Advertisement
শাহাদাত হোসেন বলেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষণাপত্র বাতিল করেছে সরকার। এর আগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছিল। বর্তমান নিশিরাতের সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে কোনো স্বাধীনতা নেই, তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিরোধীদলের একমাত্র পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল সরকারের চরম হিংসার বহিঃপ্রকাশ। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। তিনি অবিলম্বে দৈনিক দিনকাল ও আমার দেশ সহ বন্ধ গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষণাপত্র বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সরকার। কিন্তু অতীতে যেমন কোনো স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেফতার, নির্যাতন করে দমাতে পারেনি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (অ্যাব) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি জানে আলম মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন— সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ সাফা চৌধুরী, ড্যাব নেতা ডা. মো. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, বিএনপি নেতা মন্জুর রহমান চৌধুরী, ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, নুরুল মোস্তফা কাজী, জীবন মুসা, এমএ হোসেন, এফএএফ রুমি, আকতার হোসেন, ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব রানা, সালাউদ্দীন আলী, রোটারিয়ান জসীম উদ্দিন, তাঁতীদল নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম, এমএ জলিল, এন মো. রিমন প্রমুখ।
ইকবাল হোসেন/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement