সদ্য সমাপ্ত আমন মৌসুমে সারাদেশে ৫৭ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি আবাদ হয়েছিল। এরমধ্যে কম্বাইন হারভেস্টর দিয়ে কাটা হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর জমির ধান। যা মোট আবাদি জমির ১১ দশমিক ২২ শতাংশ।
Advertisement
এতে ধান কাটায় কৃষকের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৫৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এছাড়া শস্যের অপচয় রোধ হয়েছে দুই লাখ ১৮ হাজার টন। এর বাজারদর প্রায় ৫৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে রোপা আমন মৌসুমে সারা বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টর ব্যবহারে কৃষকের মোট সাশ্রয় হয়েছে প্রায় এক হাজার ১১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম আরও জানান, সনাতন পদ্ধতিতে শ্রমিকের মাধ্যমে ১ একর জমির ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে খরচ হয় ১১ হাজার ৮০০ টাকা। কম্বাইন হারভেস্টরের মাধ্যমে ১ একর জমি ফসল কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে খরচ হয় মাত্র ৬ হাজার টাকা (সব খরচ মিলিয়ে)। অর্থাৎ কম্বাইন হারভেস্টরের মাধ্যমে প্রতি একর জমিতে লাভ হয় ৫ হাজার ৮০০ টাকা। এ যন্ত্রের মাধ্যমে ফসল কাটার পরবর্তী অপচয় মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। যা সনাতন পদ্ধতিতে ১০ থেকে ১২ শতাংশ।
Advertisement
আরও পড়ুন: ইউরোপের কৃষি খাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ
তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণে কোনও বিকল্প নেই। এজন্য সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১২ ক্যাটাগরির যন্ত্র হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং সমতলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি বিতরণ করা হচ্ছে।
১২ ক্যাটাগরির যন্ত্র হলো- কম্বাইন হার্ভেস্টর, রিপার ও রিপার বাইন্ডার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, সিডার বা বেড প্লান্টার, পাওয়ার থ্রেসার, মেইজ শেলার, পাওয়ার স্প্রেয়ার, পাওয়ার উইডার, ড্রায়ার, পটেটো ডিগার ও পটেটো চিপস বানানোর যন্ত্র।
এর মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি দিয়ে ৭২৫৬টি কম্বাইন হারভেস্টরসহ মোট ২৫ হাজার ১৬৫টি কৃষি যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এসব কৃষি যন্ত্র কৃষি ও কৃষকের জীবন বদলে দিচ্ছে।
Advertisement
এনএইচ/এমএইচআর/জেআইএম