আইন-আদালত

গ্রাহকের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটে তদন্ত-ব্যবস্থার নির্দেশনা চেয়ে রিট

জীবন বিমা কোম্পানি হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (৫ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির ১৪ গ্রাহকের পক্ষে রহিমা আক্তার নামের এক নারী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

রিটে অর্থ সচিব, ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৪ পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হোমল্যান্ড লাইফে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ খোদ পরিচালকদের

Advertisement

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পরিচালকদের প্রতারণার খপ্পরে হোমল্যান্ড লাইফ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সঙ্গে থাকবেন অ্যাডাভোকেট আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম, আক্তার রসুল মুরাদ ও মো. দিদারুল আলম দিদার।

আরও পড়ুন: কারামুক্ত ৭ পরিচালকের বিরুদ্ধে জোর করে বোর্ডসভা করার অভিযোগ

রিটে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরতে দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডন প্রবাসী সিলেটের পরিচালকদের একটি গ্রুপে প্রতারণার খপ্পরে পড়ে হোম ল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সিলেটেই হতো পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক। এ গ্রুপটির বিরুদ্ধে কোম্পানির তহবিল থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য।

আরও পড়ুন: বিমা দাবির টাকা দিতে গড়িমসি করছে হোমল্যান্ড লাইফ

বোর্ড সভার কার্যবিবরণী জালিয়াতি, জমি কিনতে ভুয়া নথি তৈরি, কমিশন ও অন্যান্য খাতে খরচের ভাউচার তৈরি করে এসব টাকা আত্মসাত করা হয়। নথিপত্রে দেখা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের নামে অস্তিত্ববিহীন জমি কেনা হয়েছে। আবার সেই জমিতে মাটি ভরাট ও কাঁটাতারের বেড়া তৈরির নামে আরও অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম