দেশজুড়ে

ঋণপত্রে জটিলতা থাকলেও বেড়েছে আমদানি

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে বেশি করে ভোগ্যপণ্য আমদানি শুরু করেছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। তবে এখনো কাটেনি ঋণপত্র খোলার জটিলতা। আমদানিকারকদের অভিযোগ, পণ্য মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি টাকা দিয়ে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে।

Advertisement

বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত থেকে এরইমধ্যে ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ রমজানে চাহিদা বাড়ে এমন পণ্য আমদানি বেড়েছে। গত কয়েক মাস আগে এসব পণ্য দু-এক ট্রাক আমদানি হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েক ট্রাকে। হিলি বাজারে প্রতি কেজি থাইল্যান্ডের ছোলা ৯০ টাকা ও অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় ছোলার দাম একটু কমে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বন্দরের ব্যবসায়ী আজমল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আসন্ন রমজানে তেমন নিত্যপণ্যের সংকট হবে না। খোলাবাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। তাই দাম বাড়ার তেমন শঙ্কাও নেই। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৭ থেকে ৭৮ টাকা এবং মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ী মাহাবুব হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলোতে এখনো কমেনি ঋণপত্র খোলার জটিলতা। ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর কোনো মার্জিন পাওয়া যাচ্ছে না। পণ্যমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে। ১০০ টাকার পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

Advertisement

হিলি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের শাখা ব্যবস্থাপক আরশাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখনো সব ব্যাংক এলসি দিতে পারছে না এবং ডলার সংকট থাকার কারণে শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি করতে হবে।

হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর হারুন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ছোলা, ডাল এবং ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে রমজানে দাম বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।

মো. মাহাবুর রহমান/এমআরআর/এএসএম

Advertisement