দেশজুড়ে

সেলাই মেশিনে স্বস্তি ফিরলো আমির হোসেনের পরিবারে

আমির হোসেনের অসহায়ত্ব নিয়ে জাগো নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২৬ জানুয়ারি তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী। টিম পজিটিভ বাংলাদেশের (টিপিবি) পক্ষ থেকে অসহায় আমির হোসেনকে তিনি একটি হুইল চেয়ার উপহার দেন।

Advertisement

এছাড়া ২৭ জানুয়ারি আমির হোসেনের পরিবার যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেজন্য গোপাল চন্দ্র সাহা নামে এক ব্যক্তি তার মেয়ে তন্নী আক্তারকে একটি সেলাই মেশিন উপহার দেন। যা গোপাল চন্দ্র সাহার পক্ষ থেকে তন্নীর হাতে তুলে দেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত। পরে নাদের বখত ব্যক্তিগতভাবে আমির হোসেনকে নগদ অর্থ দেন।

এছাড়াও সুনামগঞ্জের আরেকটি সামাজিক সংগঠন আমির হোসেনকে হুইল চেয়ার উপহার দেয়।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ধন্যবাদ জানাই জাগো নিউজকে। যে প্রতিষ্ঠানটি অসহায় মানুষদের কথা তুলে ধরেছে।

Advertisement

এদিকে সেলাই মেশিন পেয়ে খুশি অসহায় আমির হোসেনের পরিবার।

আমির হোসেনের মেয়ে তন্নী আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আমরা তিন বোন সেলাই করে সংসার চালাই। বাবার ওষুধ কেনা, সংসার খরচ সব মিলিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। বড় ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী। সেলাইমেশিন পেয়ে আমাদের কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

আমির হোসেনের স্ত্রী মদিনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আমার তিন মেয়ে কাপড় সেলাই করে যে টাকা রোজগার করে সেই টাকা দিয়ে সংসার চলে। তবে যে মেশিনে আমার মেয়েগুলো কাপড় সেলাই করে সেটা নষ্ট হয়ে যায় কয়েকদিন পর পর। আজ যিনি আমাদের নতুন সেলাই মেশিন উপহার পাঠালেন তিনি যেন হাজার বছর বেঁচে থাকেন। সেইসঙ্গে যারা আমার স্বামীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছেন তারাও বেঁচে থাকুক হাজার বছর।

কাঁচপুর ফ্যাক্টরির প্রাণ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার গোপাল চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার স্বপ্ন ছিল মানুষের পাশে থাকবো। কারণ মা আমাকে বলতেন বাবা কখনো কারো কষ্ট দেখে হাসবে না, তাকে তোমার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে। সেই কথা আজও মনে আছে আমার। দেশের যেকোনো প্রান্তেই মানুষ যদি সমস্যায় পড়ে আমি তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

Advertisement

গত ২১ জানুয়ারি ‘একজন মানুষও কি নেই, যে আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করবে।’ শিরোনামে জাগো নিউজে আমির হোসেনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।

লিপসন আহমেদ/এফএ/এএসএম