জাতীয়

‘এবার রিজওয়ানার পালা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

 

নারীদের বাস্কেট বল খেলায় অনুপ্রাণিত করতে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) কারিগরি সহায়তায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে উন্মোচিত হলো ‘এবার রিজওয়ানার পালা’। সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত এ বইটিতে বিভিন্ন বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে বাংলাদেশের একজন তরুণীর বাস্কেটবল খেলোয়াড় হয়ে ওঠাকে তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। এসময় যুগ্মসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফ শিশু সুরক্ষা বিভাগের প্রধান নাটালি ম্যাককলি, ইউনসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক এলিসা কল্পনা এবং বইটির লেখিকা ক্রিস্টাল পটেবাম উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনিরা হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, এটা নিছক কোনো গল্পের বই নয়। এটা শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণা। তাই আমরা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। ভবিষ্যতে সব শিশু যেন রিজওয়ানার মতো হয়ে ওঠে। দেশ গঠনে ভূমিকা রাখে।

খেলাধুলার মাধ্যমেও ক্ষমতায়ন সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ লাখ শিশুর মধ্যে ৯ লাখ মেয়ে শিশুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে অভিভাবকরাও অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে, এক্ষেত্রে সমাজের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Advertisement

এলিসা কল্পনা বলেন, আমরা ২০২২ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যে কাজ করিছি আজ তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। এ বইয়ের মধ্যে একজন কিশোরী কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে খেলায় পা রাখে তা তুলে ধরা হয়েছে। কেননা খেলাধুলার মাধ্যমে সহিংসতা ও লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে কীভাবে জিততে হবে তা নিয়ে ইউনিসেফ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে ফুটবল, ক্রিকেটসহ ৯টি ক্যাটাগরির খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। আগামী চার মাসে দেশের ১০ লাখের মতো শিশু এ খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়া ৪০ লাখের মতো শিশু এর সুবিধা পেতে যাচ্ছে।

বইটি প্রকাশ করায় ‘হারস্টরি ফাউন্ডেশন’ এবং খেলাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে ‘দেশি বল’-কে ধন্যবাদ জানান এলিসা।

অনুষ্ঠানে ম্যাক ক্যালি বলেন, নারীদের বাস্কেট বল খেলায় অনুপ্রাণিত করতে এ বইটি উন্মোচন করা হয়েছে। এ বইয়ে রিজওয়ানা যেভাবে প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাস্কেট বল খেলোয়াড় হওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। অল্প রিসোর্সে ব্যবহার করে এ খেলাটা পরিচালনা করা যায়। আর শিশু-কিশোরদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করা এবং নীতিনির্ধারকদের অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যেই আমাদের এ সহযোগিতা আগামীতে অব্যাহত থাকবে।

বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বইটি প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশাংসা করেন লেখিকা ক্রিস্টাল পটেবাম। বক্তব্যে তিনি বইয়ের গল্পটা উপস্থাপন করেন।

Advertisement

আইএইচআর/এমএএইচ/