পারিবারিক বিরোধের জেরে জামালপুর সদর উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে মীম আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন একদল সন্ত্রাসী। এদিকে মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মা পলি বেগম (৩৫)।
Advertisement
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন পলি বেগম। পরে বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
এরআগে সকালে উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মীম ওই এলাকার আল আমিনের মেয়ে। সে রহিমা-কাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পলির বাবা আল আমিনের সঙ্গে প্রতিবেশী নজরুল ও শামীমের পরিবারে বিরোধ চলে আসছিল। বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া-আসার পথে টিনের বেড়ায় আঘাত করাসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে মীমকেও উত্যক্ত করতেন তারা। রোববার (২ মার্চ) সকালে নজরুল ও শামীম উত্ত্যক্ত করতে গেলে মীম প্রতিবাদ করায় তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। উদ্ধার করতে গেলে তার মাকেও মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
Advertisement
আরও পড়ুন: মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
এদিকে মীমের আহতের খবর স্কুলে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ করে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে। তারা মীমের ওপর হামলাকারী নজরুল-শামীমসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে রহিমা-কাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিউল করিম বলেন, মীমের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন করেছে। তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে তারাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ইমন জানান, এ ঘটনায় মীমের মা বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
Advertisement
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস