ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের শান্তি পরিকল্পনার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনার পর এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।
Advertisement
গত সপ্তাহে চীনা শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। তার পর এ সপ্তাহে তিনদিনের চীন সফরে যান বেলারুশের প্রেসিডেন্ট। জানা যায়, লুকাশেঙ্কো বৈঠকে শি জিনিপিংকে বলেন, চীনের শান্তি পরিকল্পনায় আমাদের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে। পরিকল্পনাটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন>> রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ/ রুশ সেনা প্রত্যাহারে জাতিসংঘে ভোট, বিরত বাংলাদেশ-ভারত-চীন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে লুকাশেঙ্কো শি’কে বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, সংঘাত আটকানো। সেদিক থেকে চীনের ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব একদম যথার্থ।
Advertisement
অন্যদিকে, বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট ‘স্নায়ু যুদ্ধের মানসিকতা’ ত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সব দেশের উচিত, বিশ্ব অর্থনীতির রাজনীতিকরণ বন্ধ করা। পাশপাশি বাস্তবে এমন কিছু করা যা যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধ বন্ধ ও বিশ্বব্যাপী চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তা করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে এতদিন চুপচাপ থাকলেও, সম্প্রতি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। গত সপ্তাহে যুদ্ধরত দুই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়ে শান্তি আলোচনার পরিকল্পনা ঘোষণা করে চীন ।
আরও পড়ুন>> পূর্ব ইউরোপকে শক্তিশালী করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ
অন্যদিকে, যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার দাবি করলেও, জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তোলা বিভিন্ন প্রস্তাবে শক্তভাবে মস্কোর পাশে ছিল বেইজিং। তাছাড়া চীন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কোনো নিন্দা জানায়নি।
Advertisement
এমনকি, প্রতিবেশী দেশে রাশিয়ার এমন সামরিক আক্রমণকে ‘আগ্রাসন’বলতেও নারাজ বেইজিং। উলটো রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করে আসছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে বলছেন, ইউক্রেইন যুদ্ধ ঘিরে এখন মস্কো-বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ছে।
আরও পড়ুন>> হঠাৎ শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি, কারণ অজানা
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হয়। সেদিন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ১২ দফা সংবলিত শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানায় বেইজং। তবে প্রস্তাবের কোথাও সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ