দেশজুড়ে

সড়কবিহীন পড়ে আছে দু’কোটি টাকার সেতু

সিরাজগঞ্জের নদীভাঙন কবলিত উপজেলা চৌহালী। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় জেলা শহর থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন উপজেলাটি। তবে এ সংকট কিছুটা লাঘব করতে উপজেলার বিনাইন মরা নদীর ওপর এক বছর আগে করা হয় একটি সেতু। কিন্তু সেটির দু’পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজেই আসছে না সেতুটি। এতে উমারপুর ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

Advertisement

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসীর সেতুটি নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এক বছর আগে সেটি নির্মিত হলেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। সংযোগ সড়ক না থাকায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সরকারের সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হলেও সেটি তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। সেতুর নিচ দিয়ে তাদের পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। কিন্তু সেটিও বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে।

আরও পড়ুন- চোখ জুড়িয়ে যায় শিমুল ফুলে

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর বিনাইন মরা নদীতে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করেন ঠিকাদার। ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করা হয়েছে। সেই সেতুটি এক বছর আগে নির্মাণ হলেও চলাচলের উপযোগী হচ্ছে না। এতে আমাদের উৎপাদিত ফসল হাটবাজারে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

আরও পড়ুন- ৮ আনার সঞ্চয়ে বই বিক্রি ১৭ লাখ

বিনাইন গ্রামের আক্কাস ব্যাপারী জাগো নিউজকে বলেন, দু’পাশে মাটি না থাকায় কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত সংযোগ সড়কের দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন- ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে চলছে ১০০ শ্রমিকের জীবিকা

Advertisement

সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ক’দিন আগে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। সেতুটির দু’পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

এফএ/এএসএম