দিনাজপুরে তৃতীয় বারের মতো শুরু হচ্ছে জেলা ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) থেকে শুরু হয়ে ইজতেমা চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। ওইদিন আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
Advertisement
জেলার গোর-এ-শহীদ ময়দানে (বড়মাঠ) ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
ইজতেমায় জেলার ১৩টি উপজেলা, পাশের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আগতরা ইজতেমায় অংশ নিবেন।
জেলা তাবলীগ জামাতের আমিরে ফয়সাল ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হাকিম জানান, বাংলাদেশের আমিরে ফয়সাল ও ঢাকার কাকরাইলের জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মুফতি মাওলানা নুরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) ইজতেমায় আসবেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: যেভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো
এছাড়া মালয়েশিয়ার একটি জামাতও এরমধ্যে দিনাজপুরে অবস্থান করছেন। তারা ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সামনে আম বয়ান পেশ করবেন।
এদিকে বুধবার বিকেল থেকে ইজতেমায় মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। তাদের অজু-গোসলের পানি সরবরাহের জন্য ২০টি টিউবওয়েল, একটি সাব-মারসেবল পাম্প, তিনটি মোটর বসানো হয়েছে। নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য দুই শতাধিক টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। বিদেশি মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীদের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশে বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।
ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মো. মেহেরুল ইসলাম ও হাবিপ্রবির শিক্ষক কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হাকিম আমিরে ফায়সালের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ১০ জন সুরা সদস্য রয়েছেন।
Advertisement
এর আগে ২০১৭ সালে প্রথমবার ও ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ইজতেমা।
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/জিকেএস