দেশজুড়ে

নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বিক্রির সত্যতা মিলেছে

বগুড়ার ধুনটে দরপত্র বহির্ভূতভাবে এক ব্যবসায়ীর কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক-সভাপতির বিরুদ্ধে।

Advertisement

বুধবার (১ মার্চ) সকালে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) বিপ্লব কুমার দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধপাকা ভবনটি ২২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ থেকে নিলামের মাধ্যমে এক লাখ ৫০ হাজার টাকায় জুয়েল সরকার নামে এক ব্যবসায়ীকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যবসায়ী আধপাকা ভবনটি অপসরণের পাশাপাশি ভবনে রক্ষিত স্টিলের তিনটি আলমারি, লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি চারটি টেবিল, দুটি চেয়ার, ৭০টি বেঞ্চ ও প্রায় ৪০০ কেজি ওজনের ঢেউটিন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে স্কুলের আসবাবপত্র বিক্রির অভিযোগ 

Advertisement

শিক্ষার্থীদের খেলনা সামগ্রী কেনার অজুহাতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও সভাপতি অমিত হাসান পুরাতন আসবাবপত্র গুলো মাত্র সাত হাজার টাকায় ওই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন। যা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেতো। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য এটিইও বিপ্লব কুমার দেবনাথকে দায়িত্ব দেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলনা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবসায়ীকে আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে এসব আসবাবপত্র কত টাকায় বিক্রি করেছেন তা তিনি বলতে রাজী হননি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি অমিত হাসান বলেন, পেশাগত কারণে আমি এলাকার বাইরে অবস্থান করি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী জুয়েল সরকার বলেন, কার্যাদেশের বাইরে বিদ্যালয়ের কোনো আসবাবপত্র নেওয়া হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার নামে অপপ্রচার করছে।

Advertisement

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (টিইও) এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএইচ/জিকেএস