জাতীয়

সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া দ্রুত পাসের দাবি

সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া পাস ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন সম্ভব জানিয়ে আইনটি দ্রুত পাস করার দাবি উঠেছে। পাশাপাশি আইন হলেও এর কঠোর প্রয়োগ ও সমাজে মূল্যবোধ জাগ্রত করার অভিমত ব্যক্ত করেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে ‘গণমাধ্যমে কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তারা। এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডর্প)।

ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত করা, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন বন্ধ করা, খুচরা ও মোড়কবিহীন সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে ডর্প।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডরপের নির্বাহী উপদেষ্টা এবং সাবেক সচিব মো. আজহার আলী তালুকদার। তিনি বলেন, কোনো সরকারি কর্মকর্তা যাতে তামাক কোম্পানিতে নিযুক্ত হতে না পারে সেই বিষয়ে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। সারাদেশের আইনটির সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষে ১৬ হাজার জনসমর্থন রয়েছে। এছাড়া ১৬৯ সংসদ সদস্য সংশোধনীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

Advertisement

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডর্পের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান। তিনি বলেন, সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিপক্ষে তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে আসছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন ও সংসদে পাস করাতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, সারাদেশে ই-সিগারেট ছড়িয়ে গেছে। ৪২টি দেশ এটা নিষিদ্ধ করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে এটা নিষিদ্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশে তরুণ সমাজ ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যেকোনো প্রক্রিয়ায় আইন করে ই-সিগারেট বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, খুচরা বিক্রি বন্ধ করলে সিগারেটের বেচাকেনা কমতে পারবে। কিন্তু যেই দেশের মানুষ দুধ বিক্রি করে সিগারেট খায়, সেই দেশে দাম বাড়িয়েও সিগারেট বিক্রি করা যাবে বলে আমার মনে হয় না। আইনটি সংসদে ওঠলে আমরা তা পাস করানোর উদ্যোগ নেবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শাহ আলম বলেন, তামাকের ভয়বহতা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের যদি তামাক থেকে দূরে রাখা যায় তাহলে আমরা সুফল পাবো। শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক সভা সেমিনার না করে এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে।

Advertisement

এসএম/এমএএইচ/এমএস