‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এই স্লোগানে আজ বুধবার (১ মার্চ) থেকে রেলের টিকিট সংগ্রহ ও ভ্রমণে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদর্শন বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।
Advertisement
প্রথম দিনই সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে পিওএস মেশিন হস্তান্তর শেষে রেলস্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন পরিদর্শনে অনলাইন টিকিটিংয়ে যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা নিতে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
কিন্তু রেলমন্ত্রী ট্রেনের ‘খ’ বগিতে প্রবেশের আগেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার ও দুজন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক-টিটিই বিনা টিকিটের যাত্রীদের অন্যত্র সরিয়ে দেন।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এ চিত্র দেখা গেছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: টিকিট কালোবাজারি পুরোপুরি বন্ধ হবে কি না জানি না
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়ানো ছিল রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। অনলাইন টিকিটিংয়ে যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিতে ট্রেনটিতে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে যান মন্ত্রী। এসময় টিটিই ও স্টেশন ম্যানেজার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরমধ্যে কয়েকজন যাত্রীর কাছে টিকিট না থাকায় তাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ‘খ’ বগিতে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী। নতুন এ পদ্ধতির বিষয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় ওই বগির ভেতরেও এক দম্পতিকে দেখা যায় টিকিট ছাড়া সিটে বসে আছেন। মন্ত্রী বগিতে উঠার পর সিট থেকে উঠে নেমে যান তারা।
এদিকে যাত্রী সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, এটা তো বাস্তবায়নের বিষয়, কতটুকু ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবো সেটাই বিষয়। আমরা শুরু করলাম মাত্র।
Advertisement
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ারের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কমলাপুর থেকে অনেক যাত্রী বিমানবন্দর স্টেশনে যায়। তারা কীভাবে উঠে এটা বোঝা যায় না। স্ট্যান্ডিংয়ের জন্য আলাদা বগি না থাকলে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এর আগে সকাল ৯টায় রেলমন্ত্রী টিকিট বিক্রি পরিদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষকদের (টিটিই) কাছে পজমেশিন হস্তান্তর করেন।
আরএসএম/এমকেআর/এমএস