রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি পুরোপুরি বন্ধ হবে কি না জানি না। তবে, আমরা চেষ্টা করছি অন্ততপক্ষে টিকিট কালোবাজারি যাতে না হয়।’
Advertisement
বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৯ টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশের মানুষের শিক্ষা ও আইটি জ্ঞান কম থাকায় শতভাগ সফলতা আসতে বিলম্ব হতে পারে। যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্য ও সহজলভ্য করার উদ্দেশ্য এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে রেলওয়ে। প্রয়োজনে যাত্রীদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন>> বুধবার থেকে ৭ শর্তে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
Advertisement
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো যাত্রী টিকিট পাবেন না। প্রাথমিকভাবে আন্তঃনগর এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। পরবর্তীতে এটি বিস্তৃত করা হবে।
‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এ স্লোগানে যাত্রীরা যেন কিছু সুবিধা পেতে পারে এবং টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যেই অভিযোগুলো পাওয়া যেতো আমরা নিজেরাও বিভিন্ন সময় তা সমাধানের চেষ্টা করেছি। বিনাটিকিটে ভ্রমণ করেছে। টিকিট পাওয়া যেন আরও সহজলভ্য করা যায়। কোনোরকম অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীদের সেবা পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে সেই চেষ্টা করছি এবং এটিই শেষ নয়।
আরও পড়ুন>> কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় জানেন না অনেক যাত্রী
তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ অনলাইনে এবং ৫০ শতাংশ কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু কোনোক্রমে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকিট পাওয়া যাবে না। আগে টিকিট হলেই একজন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারতেন, এখন আপনার টিকিটে আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে। টিকিট থাকলেই ভ্রমণ করা যাবে না।
Advertisement
এর আগে সুযোগ ছিল পাঁচটা বা দশটার টিকিট কেটে কালোবাজারি করে বিক্রি করা যেতো। অন্যের টিকিট নিয়েই অনেকে ভ্রমণ করতে পারতেন। এখন সেটা পারবেন না। আর বিনাটিকিটে কেউ ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন>> নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ
টিকিট সংগ্রহ ও ফেরত দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অনলাইনে যেকোনো জায়গা থেকে যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই টিকিটের টাকা ফেরতও নিতে পারবেন, কাউন্টারে আসতে হবে না। গত ১৫ দিনে ৪ লাখ মানুষ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
আরএসএম/এমএএইচ/জেআইএম