ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কলেরা। এখন পর্যন্ত কলেরায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫৬৮ জন। আসাদ সরকার বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করা জরুরি সহায়তা টিমের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) টুইটারে হোয়াইট হেলমেট বাহিনী জানায়, উত্তর-পশ্চিমে গত নভেম্বর থেকে কলেরায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত আরও ৫৬৮ জন।
আরও পড়ুন দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ/ভূমিকম্পে কেন মৃত্যুপুরী তুরস্ক-সিরিয়া?স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা বলেন, ভূমিকম্পের ফলে ওই অঞ্চলের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানির ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে দ্রুত ছড়াচ্ছে কলেরা।
অ্যাক্টিভিস্ট নুর কোরমুশ আল জাজিরাকে বলেন, দুর্যোগ আরও বেড়েছে শরণার্থী ক্যাম্পের এলাকাগুলোতে। সেসব জায়গায় তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের আগেও, এলাকাটি যথাযথ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরণার্থী শিবিরের ৬৩ শতাংশও সঠিক পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না।
Advertisement
তিনি আরও জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ভূমিকম্পে বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার পর হাজার হাজার বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন ভূমিকম্প/ সিরিয়ায় প্রথম সহায়তা পৌঁছালো তিন দিন পরকোরমুশ স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী জানান, ওই অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে বা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারা এখন যে পরিবেশে বসবাস করছে সেটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে কোনো রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে কলেরা। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিবেদনেও বলা হয় বিশুদ্ধ পানির ‘তীব্র ঘাটতি’ দেখা দিয়েছে ওই অঞ্চলে।
আরও পড়ুন ভূমিকম্প/ উদ্ধারকাজ শেষ না হতেই সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরে আঘাত হানে আরও শতাধিক আফটারশক। দু’দফার ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তুরস্ক ও সিরিয়া। দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ।
সূত্র: আল-জাজিরা
Advertisement
এসএনআর/জেআইএম