কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নির্দেশে শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের ওপর পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তার নির্দেশেই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। এমনকি তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে অন্তরার পা ধরতে বাধ্য করা হয়। এসব নিয়ে মুখ খুললে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ এবং হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ফুলপরীকে।
Advertisement
উচ্চ আদালতে দাখিল করা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নির্দেশে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে র্যাগিং ও শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এই অমানবিক, পাশবিক, শারীরিক, ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য ঘটনার সঙ্গে চারুকলা বিভাগ ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ইসরাত জাহান মীম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াবিয়া জাহান সরাসরি জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবির ঘটনায় প্রভোস্টের অবহেলা-প্রক্টরের উদাসীনতা ছিল
Advertisement
এছাড়া আল-আমিন নামের একজনের সঙ্গে অন্তরার মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে আল-আমিন ফোনে ফুলপরীকে হুমকি দেন বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে। এছাড়া হল প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে চরম অবহেলা এবং প্রক্টরের উদাসীনতার বিষয়টিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে লিখিত অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী।
ছবিতে সানজিদা (বাঁমে) ও তাবাসসুম
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, র্যাগিংয়ের নামে তাকে মারধর এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল।
Advertisement
ইবির সেই ঘটনা নজরে এলে হাইকোর্ট ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আদালতের নির্দেশে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি পৃথক দুটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে।
দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতির রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশের জন্য বুধবার (১ মার্চ) দিন ঠিক করেছেন। আগামীকাল এ বিষয়ে আদেশের তারিখ ধার্য রয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
একই সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন ও বিধি সংগ্রহ করতে এবং ইবির কোনো আইনজীবী থাকলে তাকে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া আইনের বিষয়ে রাষ্ট্র ও রিটকারীদের জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতনের দুই প্রতিবেদন হাইকোর্টে, আদেশ বুধবার
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। তার সঙ্গে ছিলেন আজগর হোসাইন তুহিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও উদাসীনতা দেখিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ অন্তত ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
ছবিতে মীম (বাঁমে) ও ঊর্মি
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তরা প্রত্যেককে নির্দেশ দেন যেন ফুলপরীকে একটি করে চড় মারে। আর লিমা ফুলপরীর মোবাইল কেড়ে নেন এবং সবাই অন্তরার পা ধরতে ফুলপরীকে বাধ্য করেন।
এছাড়া প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম হলে থাকাকালে অন্তরা, তাবাসসুম, মীম, উর্মি, মোয়াবিয়ারাসহ অন্যরা ফুলপরীকে হাত ধরে টানাটানি করে হেনস্থা করে। এক পর্যায়ে প্রভোস্ট বরাবর মুচলেকা দিতেও বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন করা হয়েছে: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন
একই প্রতিবেদনে এ ঘটনায় প্রভোস্ট ড. শামসুল আলম, সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক, কর্মকর্তা হালিমা খাতুন, একজন আয়া, ডাইনিং ম্যানেজার সোহেল রানা, হাউজ টিউটর মোমিতা আক্তার ও ইসরাত জাহানদের দায়িত্বে চরম অবহেলা এবং ফুলপরী ইস্যুতে ব্যাপক গাফিলতি ছিলো বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আজাদের উদাসীনতার কথাও প্রতিবেদনে উঠে আসে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত জানতে চান এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পাঁচজনকে হল থেকে বের করা হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন।
এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
ছবিতে মোয়াবিয়া জাহান
ঘটনার পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
আরও পড়ুন: ইবির ছাত্রলীগ নেত্রীসহ পাঁচজনের সিট বাতিল
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত বক্তব্য এবং অডিও ক্লিপসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, লিমা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিমার নাম বিচারিক তদন্তে এসেছে, আর বাকিরা দুই তদন্তেই রয়েছেন।
বিচারিক তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রভোস্ট এবং হাউস টিউটরদের চরম ব্যর্থতা ও অবহেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। কারণ তারা হলেন তাদের হলের অভিভাবক। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছেন। অন্তরা এবং অভিযুক্তরা এ ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন। প্রভোস্টের সামনেই তারা এটি করেন। প্রভোস্ট অভিযুক্তদের সাহায্য করেন। এটি বিচারিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে। আর বিচারিক তদন্তে অন্য যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চরম উদাসীনতা দেখিয়েছেন, অবহেলা করেছেন। তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে (ইবি) রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে ছাত্রলীগ
এদিকে ফুলপরী খাতুন নামের ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিক হলের সিট বাতিল করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ। তাদের সবাইকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনার দুটি তদন্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এ প্রতিবেদন আজ (মঙ্গলবার) আদালতে জমা দেন। এরই মধ্যে সোমবার ইবির হল থেকে পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, হালিমা আক্তার ঊর্মি, ইশরাত জাহান মীম এবং মোয়াবিয়া জাহান।
ছবিতে তাবাসসুম ইসলাম
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় র্যাগিংয়ের পর তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রতিবেদন জমা দিলো বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি
পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭- ৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং মুখ চেপে ধরে গালাগাল করা হয়। এমনকি তাকে ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করতে বলেন সানজিদা। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন অভিযুক্তরা। জামা না খুললে আবারও তাকে মারধর করতে থাকেন। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।
এরই মধ্যে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন। হাইকোর্ট প্রশাসন ক্যাডার, বিচার বিভাগ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন। এসময় দুই অভিযুক্তকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়। সে অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কমিটি এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হয়। প্রতিবেদন পাঠানোর পর গতকাল সোমবার ৫ শিক্ষার্থীর আবাসিক সিট বাতিল করে তাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এফএইচ/এমকেআর/এএসএম