পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। তোশাখানা মামলার শুনানিতে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিতির কারণে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। খবর ডনের।
Advertisement
এদিন একদল কর্মী-সমর্থককে নিয়ে ইসলামাবাদের জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের দুটি আদালতে হাজির হয়েছিলেন ইমরান খান। তবে আজ চারটি ভিন্ন মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা ছিল পিটিআই চেয়ারম্যানের। এর মধ্যে দুটি ছিল জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স আদালতে এবং দুটি এফ-৮ কাছারিতে।
ইমরান খানের নামে বেআইনি অর্থায়ন মামলা এবং সন্ত্রাসবাদ মামলার শুনানি ছিল জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে অবস্থিত আদালতে। আর তোশাখানা মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার শুনানি ছিল এফ-৮ কাছারির দায়রা আদালতে। জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স থেকে এফ-৮ কাছারির দূরত্ব প্রায় আধা ঘণ্টার রাস্তা।
এদিন এফ-৮ কাছারিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ জাফর ইকবালের আদালতে তোশাখানা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই মামলায় ইমরান খানের আইনজীবী আদালতকে অনুরোধ করেন, তার মক্কেলকে আজকের শুনানি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। কারণ তাকে একই সময় আরও কয়েকটি আদালতে হাজির হতে হবে। এর আগে তার বিরুদ্ধে শুনানি দুবার মুলতবি করা হয়েছিল।
Advertisement
শুনানিতে পিটিআই’র আইনজীবী আলি বুখারি আদালতকে বলেন, তার মক্কেল জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের দুটি আদালতে হাজিরা দিতে রওয়ানা দিয়েছেন। তাই তিনি আজ এই আদালতে হাজির হতে পারবেন না। এ জন্য শুনানি পাঁচ দিনের জন্য মুলতবি করার আবেদন করেন বুখারি।
তবে, ইসিপির কৌঁসুলি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, পিটিআই প্রধান আসলে আদালতে হাজির হতে চান না। তিনি আদালতে পৌঁছানোর জন্য কতদূর ভ্রমণ করছেন তা আদালতের দেখার বিষয় নয়। ইমরান খান জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে যেতে পারলে এই আদালতেও হাজির হতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় পিটিআই’র আইনজীবী বলেন, অন্য দুটি মামলা থেকে মুক্ত হলে তার মক্কেল বিচারিক সময়ের মধ্যে আদালতে পৌঁছাতে পারবেন।
এর প্রেক্ষিতে বিচারক বলেন, অভিযোগ গঠন অপেক্ষমান থাকায় তার এখানেও আসা উচিত। পরে আইনজীবী বলেন, খাজা হারিস এই মামলায় ইমরান খানের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং তিনি আজ এখানে আসতে পারবেন না।
Advertisement
এরপর শুনানি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন বিচারক। পরে শুনানি ফের শুরু হলে তিনি ইমরান খানের নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং শুনানি ৭ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেন।
কেএএ/