দুদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান। তার এই সফরে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলা হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে এ দূতাবাস উদ্বোধন করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো। বিকেল ৪টায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে একটি নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোর সফরে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু নিয়ে হবে আলোচনা।
ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
Advertisement
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে মিশন খোলার ঘোষণা আসতে পারে
গত বছরের কাতার বিশ্বকাপের সময় থেকে বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ নজর দেয় আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক-রাজনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে ঢাকায় আবারও দূতাবাস চালুর বিষয়ে চিন্তাভাবনার কথায় জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক নীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ক্লডিও রোজেনওয়েইগ।
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল ও দেশটির সেরা তারকা লিওনেল মেসির অসংখ্য ভক্ত-সমর্থক দেখে অভিভূত হন দেশটির সব স্তরের মানুষ। তাদের গণমাধ্যমগুলোতেও বাংলাদেশের মানুষের এই আর্জেন্টিনা প্রীতি প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
আরও পড়ুন: অবশেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনা দূতাবাস
Advertisement
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের পর অভিনন্দন জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই অভিনন্দনবার্তার জবাবে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো।
আরও পড়ুন: ‘মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকায় আসতে বলেছি’
চিঠিতে আলবার্তো বলেন, ২০২৩ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হবে। দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন উৎপাদক দেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল আমদানি সহজতর হবে।
জেএইচ/জিকেএস