খেলাধুলা

তবুও জিতে গেল পাকিস্তান

১৭ রানেই নাই হয়ে যায় ৩ উইকেট। এমন ম্যাচটিতে পাকিস্তান জিতবে সে কল্পনাও কেউ করেনি। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক আর উমর আকমলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নিল পাকিস্তান। ৬৩ রানে শোয়েব মালিক এবং ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন উমর আকমল।মোহাম্মদ আমিরের তোপের মুখে শুরুতে কোণঠাসা হয়ে পড়ার পরও সাইমান আনোয়ারের (৪৬) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ১২৯ রান সংগ্রহ করে আরব আমিরাত। ঢাকার উইকেটে এই ১২৯ রানই অনেক বড় স্কোর।জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমজাদ জাভেদের তোপের মুখে ১১ রানের মাথায় শারজিল খান এবং খুররম মনজুর বিদায় নেন। এরপর ১৭ রানের মাথায় বিদায় নেন মোহাম্মদ হাফিহজও। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের এমন রূপ দেখে সবাই ভারত ম্যাচের কথাই মনে করছিলেন। আজও বুঝি তাহলে আরব আমিরাতের কাছে হেরে যাবে শহিদ আফ্রিদির দল!কারণ, দলটির ব্যাটিং লাইনআপ যে একেবারেই নড়বড়ে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু পাকিস্তান মানেই তো পুরোপুরি আনপ্রেডিক্টেবল একটি দল। এদের নিয়ে না ভবিষ্যদ্বানী করা যায়, না বাজি ধরা যায়! সেই ঘোর অনিশ্চয়তার কারণে, পাকিস্তান যে কখন কী করে বসে, সেটা কেউ কখনও বলতে পারে না।সুতরাং, আজও পাকিস্তানের ওপর থেকে ভক্তরা আশা হারিয়ে ফেলেননি। তারা হয়তো জানতেন, আরব আমিরাত সম্পূর্ণ অপেশাদার একটি দল। একটু চমক হিসেবে হয়তো কেউ একটা স্পেল ভালো করে ফেলবে। বাকি সময়টা যদি একটা ধাক্কা দেয়া যায়, তবে হুড়মুড় করে তারাই উল্টো ভেঙে পড়বে। সে ধাক্কাটাই দিয়ে দিলেন শোয়েব মালিক এবং উমর আকমল।১৭ রানে তিন উইকেট পড়ার পর তাদের দুর্দান্ত জুটিই শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিল পাকিস্তানকে। ১১৪ রানের জুটি গড়ে তারা পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিলেন আরব আমিরাতের সাথে। ৪৯ বলে ৬৩ রান করেন শোয়েব মালিক। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি বিশাল ছক্কায় সাজানো ছিল তাদের ইনিংস। ৪৬ বলে ৫০ রান করেন উমর আকমল। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।আইএইচএস/বিএ

Advertisement