খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা না করা নিয়ে সাংবাদিকরাই ধূম্রজালের সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জীবন বিপন্ন। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুটো শর্তে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছেন। শর্ত দুটো হচ্ছে তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে দেশে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না। সেখানে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না এমন কোনো শর্ত ছিল না।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়া দুটো দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন। সেই মামলাগুলোর একটি বিচারিক আদালতে এবং আরেকটি হাইকোর্টে আপিল শুনানি হয়েছে এবং তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতে পাঁচ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল, হাইকোর্টের আপিলে সেটা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় বিচারিক আদালতে শুনানি শেষে তাকে সাত বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়া দুটো মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ দ্বারা তিনি নির্বাচন থেকে বিতাড়িত। তার মানে সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না।
জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাছিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. আলী আমজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম জি হাক্কানী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল প্রমুখ।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/এমএস
Advertisement