দেশে ৫৬ শতাংশ কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮ বছরের আগেই গর্ভধারণ করছেন। এসব কিশোরীরা বাল্যবিয়ের শিকার। শুধু তাই নয়, তারা পরিবার ও সমাজের দ্বারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। ফলে বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চিকিৎসকরা। পেডিয়াট্টিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএজিএসবি) প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।
আরও পড়ুন: ৬শ বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরেছে বাংলাদেশি এই কিশোরী
এসময় পিএজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, ১০-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের গাইনোকোলজিক্যাল যেসব সমস্যা হয়, সেগুলো চিহ্নিত করার ব্যবস্থা আমাদের নেই। দেশে এই বয়সীর সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ। তারা প্রজনন ক্ষমতা, গর্ভধারণ, মানসিক স্বাস্থ্য, পুষ্টিহীনতা এবং নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হন। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি, বাল্যবিয়ে করলেন কনস্টেবল
তিনি বলেন, গত এক বছরে শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও নানা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা এই কার্যক্রম চালিয়েছি। কখনো কখনো চিকিৎসাও দিয়েছি। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের মাঝেও আমরা এই সচেতনতা বাড়াচ্ছি। তবে কিশোরীদের সুরক্ষা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে রোধে প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ
সংগঠনের মহাসচিব গুলশান আরা বেগম বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতিই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বয়সীদের চিকিৎসায় দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বেশকিছু নীতিমালা থাকলেও তেমন বাস্তবায়ন নেই। এগুলো যুগোপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পাওয়া দরকার।
Advertisement
এএএম/জেডএইচ/জিকেএস