ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে এক বছর ধরে চলা সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এই যুদ্ধ চলছেই। এদিকে দু’দেশের মধ্যকার এই সংঘাতের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
Advertisement
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে উসকে দিচ্ছে এবং বৈশ্বিক উত্তেজনা ও বিভাজনে ইন্ধন জোগাচ্ছে। এছাড়া অন্য সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে এবং বৈশ্বিক সমস্যা আরও চাপ সৃষ্টি করছে।
তার মতে, এই যুদ্ধ-সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের হুমকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ থেকে সরে আসার এটাই উপযুক্ত সময়। তার মতে, এই যুদ্ধ বৈশ্বিক সংকট আরও বাড়াবে। তিনি বলেন, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। যুদ্ধই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের মানুষ ব্যাপকভাবে ভুগছে। ইউক্রেন, রাশিয়া এবং বিভিন্ন দেশের মানুষ শান্তি চায়।
আরও পড়ুনঃ আঞ্চলিক যুদ্ধকে বিশ্বযুদ্ধে রূপ দিতে চায় পশ্চিমারা: পুতিন
Advertisement
সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। তার ওই বক্তব্যের পরই গুতেরেস যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানান।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট একটি আঞ্চলিক যুদ্ধকে বিশ্বযুদ্ধে রূপান্তর করতে চায়। আমরা তাদের এ পরিকল্পনা আগেই বুঝতে পেরেছি এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো। কারণ, তাদের ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রাশিয়ার অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুনঃ কতদিন চলবে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ?
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরপূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান।
Advertisement
পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এ সংঘাতে পুরো বিশ্বকে জড়াতে চায়। কারণ তারা ভাবছে, এর মাধ্যমে রাশিয়াকে পরাজিত করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাদের এ ধারণা একেবারেই ভুল। রাশিয়া যেসব প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে, সেগুলোর জবাব অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হবে।
এদিকে গুতেরেস বলেন, গত এক বছরে আমরা শুধু সমস্যা আর বিপর্যয় দেখেছি। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের মানুষ ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এই যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে সমস্যা, সংকট আরও বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
টিটিএন