দেশজুড়ে

দাম বেড়েছে কনডম-পিলের

ওষুধের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দামও। বাজারে প্রায় প্রতিটি সামগ্রীতে ১০-৮০ টাকা বেড়েছে। ফলে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দিকে ঝুঁকছেন মানুষ।

Advertisement

বাজার ঘুরে দেখা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল (খাওয়ার বড়ি) নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় দেড় থেকে দুই গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। দেড় মাস আগেও সবচেয়ে কম দামের প্রতি বক্স পিলের নির্ধারিত মূল্য ছিল ১৩ দশমিক ২১ টাকা। বর্তমানে এ ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে রকম ও কোম্পানিভেদে সর্বনিম্ন ২০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ পিল। দু বছর আগেও এসব পিলের দাম ছিল সর্বনিম্ন ৮-২৫ টাকা।

আরও পড়ুন: কনডম ব্যবহারের আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

অন্যদিকে বেড়েছে কনডমের দামও। দুই বছর আগেও প্রতি প্যাকেট কনডম ৬ টাকা দরে বিক্রি হতো। এরপর দেড় মাস আগে এর দাম ছিল ১০ টাকা। বর্তমানে সর্বনিম্ন কনডমের দাম এখন ১২ টাকা। এছাড়া সেনসেশন সুপার এবং ব্র্যান্ড কনডম যথাক্রমে ৩০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

বাজারে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কীটের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিটি কিট বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ১৫-২০ টাকা বেশি দরে। বাজরে মান ও রকম ভেদে কিট বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়। গত মাসেও এটির দাম ছিল ৩০-৭৫ টাকা।

রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার ফার্মেসি মালিক একরাম আলী বলেন, বাজারে ওষুধের দামের পাশাপাশি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। সব সামগ্রীতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। তবে বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।

আরও পড়ুন: ভুল কনডম ব্যবহার করে গোপনাঙ্গে পচন

নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার ওষুধের দোকানি আব্দুল মজিদ বলেন, পাইকারিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরায় প্রতিটি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। তবে বিক্রি কিছুটা কম-বেশি এখন বলা যাচ্ছে না।

Advertisement

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. কস্তুরি আমিনা কুইন জানান, বাজারে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। তবে সরকারিভাবে আমরা বিনামূল্যে সব ধরনের সামগ্রী দিচ্ছি।

তিনি আরও জানান, দাম বাড়ার কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পর্যাপ্ত মজুদ আছে। এখান থেকে যে কেউ চাইলে বিনামূল্যে এসব সামগ্রী নিতে পারবেন।

সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/এএসএম