তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর সহায়তায় একটি অস্থায়ী মজুরি সহায়তা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তুরস্কের ১০টি শহর। শুধু তুরস্কেই নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। কয়েক হাজার ভবন ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশটির। এবার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে।
Advertisement
আরও পড়ুন> ভূমিকম্প/তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়ালো
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে একটি অস্থায়ী মজুরি সহায়তা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এসব শহরে চাকরি থেকে ছাঁটাই প্রক্রিয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভূমিকম্পের আর্থিক প্রভাব থেকে কর্মী ও ব্যবসায়িদের রক্ষা করার জন্য এমন উদ্যোগ সরকারের।
আধুনিক ইতিহাসে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের অর্থনৈতিক প্রভাব কমানোর জন্য তুরস্ক সরকারের পদক্ষেপের অংশ এটি। দেশটির অফিসিয়াল গেজেটে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এসব তথ্য।
Advertisement
আরও পড়ুন> ভূমিকম্প/ তুরস্কে বহু মানুষের জীবন বাঁচান কয়লাখনির শ্রমিকরা
ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের পর এসব শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ানের অনুরোধে জারি করা তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা পরবর্তী নিদের্শ না পাওয়া পর্যন্ত বহাল থাকছে। ২০২০ সালে করোনাকালে অর্থনৈতিক ধাক্কা কমানোর প্রয়াসে ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেটি এখন স্থগিত করা হলো।
ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন ভূমিকম্পে আঙ্কারায় আবাসন ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ খাতে একশ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে পারে তুরস্ক।
এদিকে, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে লোকজন। তবে এখনো শঙ্কা কাটছে না অনেকের। গত সোমবার আবারও দু’দফায় ভূমিকম্পে ৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
Advertisement
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভোরের দিকে ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয়েছে বহু মানুষের।
সূত্র: রয়টার্স
এসএনআর/জেআইএম