টকটকে লাল রঙের শিমুল ফুলের বাগান। আর এই বাগানেই বসন্ত এলে ভিড় করেন পর্যটকরা। বড় বড় শিমুল গাছ যেন বসন্তে পূর্ণযৌবণা হয়ে ওঠে। এ সময় শিমুল ফুল ফুটতে শুরু করে। উপর থেকে দেখলে মনে হবে লাল চাদর বিছিয়ে রাখা হয়েছে মাটিতে।
Advertisement
সুনামগঞ্জের শিমুল বাগান ১০০ বিঘারও বেশি জায়গাজুড়ে অবস্থিত। এই জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মানিগাঁও এলাকায় এই শিমুল বাগানের অবস্থান। যাদুকাটা নদীর তীরে ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই বাগানই দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান বলে পরিচিত।
আরও পড়ুন: নিলাদ্রি লেক যেন এক টুকরো কাশ্মীর
ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝে যাদুকাটা নদী আর এপারে শিমুল বাগান। শিমুল বাগান ভ্রমণে গিয়ে চারপাশের এসব সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন।
Advertisement
এখনই সময় শিমুল বাগান ঘুরতে যাওয়ার। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরো এলাকাজুড়ে টকটকে লাল শিমুল ফুল দেখা যায়। রক্তিম আভায় পর্যটকরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন খোলামেলা এই বাগানে। ফাল্গুন আসতেই দেশ বিদেশ থেকে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা।
জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ২০০২ সালে গড়ে তোলে এই শিমুল বাগান।
শখের বসে তিনি প্রায় ৩ হাজার শিমুল ফুলের চারা রোপণ করেন। এই সেই চারা বিশাল বিশাল গাছ হয়ে উঠেছে। শিমুল বাগানের পাশে একটি লেবুর বাগানও আছে।
আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে নিয়ে একদিনেই ঘুরে আসুন ‘বাংলার কাশ্মীরে’
Advertisement
কীভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে চড়ে পৌঁছাতে হবে সুনামগঞ্জ। ভাড়া পড়বে ৫০০-৫৫০ টাকা। যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা। সুনামগঞ্জ নেমে আব্দুর জহুর ব্রিজে মোটরসাইকেল, সিএনজি, লেগুনা দাঁড়িয়ে থাকে।
মোটসাইকেলে গেলে বারেক টিলা নদীর এপার পর্যন্ত ভাড়া নেবে ২০০ টাকা। দামাদামি করে ১৫০ টাকায়ও যাওয়া সম্ভব! এক বইকে চালকসহ ৩ জন ওঠা যায়।
যাদুকাটা নদীর সামনে নামিয়ে দেবে। ৫-১০ টাকা দিয়ে নৌকা পার হয়ে ওপারে গেলেই বারেক টিলা। বারেক টিলা থেকে নেমেই চোখে পড়বে কয়েকটি চায়ের দোকান। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে শিমুল বাগান যাওয়ার পথ।
আরও পড়ুন: টাঙ্গুয়ার হাওর ও নীলাদ্রি লেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
বিকেল পর্যন্ত বাগানে সময় কাটিয়ে যাদুকাটা নদী পার হয়ে ফিরে আসুন বারেক টিলায়। সেখান থেকে সিএনজি বা মোটর সাইকেলে সুনামগঞ্জে ফিরে আসতে হবে।
অন্যান্য স্পট ঘুরতে চাইলে বাগানে সকালে গিয়ে দুপুরের মধ্যে ঘুরে আসুন। তাহলে ফেরার পথে ট্যাকেরঘাট, নীলাদ্রি লেক ও টাঙ্গুয়ার হাওরও ঘুরে আসতে পারবেন। তবে হাতে দুদিন থাকলে মোটামুটি সবগুলো স্থানেই ঘুরতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন?
শিমুল বাগানের আশপাশে তেমন কোনো থাকার ব্যস্থা নেই। বড়ছড়া বাজারে কয়েকটি গেস্ট হাউজ ও তাহিরপুর বোজারে দুটি হোটেল আছে। তবে সুনামগঞ্জ শহরে থাকাই ভালো। সেখানে ২০০-১০০০ টাকার মধ্যে পছন্দের মতো হোটেল পেয়ে যাবেন।
জেএমএস/জেআইএম