পারিবারিক কারণে দুদিন আগেই পেশোয়ার জালমি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার না থাকার প্রভাব পড়েনি পেশোয়ার জালমিতে। বরং, দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে এসে আবারও ঘুরে দাঁড়ালো পেশোয়ার। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়ে এবারের মৌসুমের দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো পেশোয়ারের দলটি।
Advertisement
করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে কোয়েটাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পেশোয়ার। হাতে বাকি ছিল তখনও ৯টি বল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। জবাব দিতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পেশোয়ার জালমি।
টস জিতে কোয়েটা অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পেশোয়ার অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার জেসন রয় এবং মার্টিন গাপটিল দ্রুত ফিরে যান। ১৪ রান করেন জেসন রয় এবং ১২ রান করেন মার্টিন গাপটিল। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ মাঠে নেমে আউট হয়ে যান কেবল ২ রান করে।
৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিলো কোয়েটা তখন হাল ধরেন সরফরাজ এবং ইফতিখার আহমেদ। ৩০ বলে ৩৯ রান করেন অধিনায়ক সরফরাজ। ৩৪ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা ইফতিখার। ক্যারিবীয় ব্যাটার ওডেন স্মিথ ১২ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
Advertisement
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। পেশোয়ারের হয়ে উসমান কাদির নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আরশাদ ইকবাল এবং জিমি নিশাম।
জবাব দিতে নেমে পেশোয়ার জালমির দুই ওপেনার কিছুটা ভালো সূচনা এনে দেন। মোহাম্মদ হারিস ৯ বলে ১৮ রান করে আউট হন। বাবর আজম ১৮ বলে করেন ১৯ রান। তবে সিয়াম আইয়ুব মাঠে নেমেই আউট হয়ে যান। টম কোহলার ক্যাডমোর আউট হন কেবল ৯ রান করে।
মিডল অর্ডারে রোভমান পাওয়েল, জেমস নিশাম দলের হাল ধরেন। পাওয়েল করেন ৩৬ রান। জেমস নিশাম করেন ৩৮ রান। দাসুন সানাকা ১৬ রানে এবং ওয়াহাব রিয়াজ ১০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
কোয়েটার হয়ে মোহাম্মদ হাসনাইন ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। নাসিম শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং কাইস আহমেদ নেন ১টি করে উইকেট।
Advertisement
আইএইচএস/এএসএম