ভ্রমণ

ছুটির দিনে ঢাকার ভেতরেই ঘুরে আসুন নিরিবিলি দুই স্থানে

ঢাকার ভেতরেই নিরিবিলি বেশ কয়েকটি স্থান আছে, যেখানে ছুটির দিন কাটিয়ে আসতে পারেন পরিবার কিংবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। যারা ঢাকার ভেতরেই বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের সন্ধান করেন, তারা চাইলেই একদিনে ঘুরে আসতে পারেন কেরানীগঞ্জের দর্শনীয় ২ স্থানে।

Advertisement

নদী, নৌকা, ঐতিহাসিক মসজিদ, বিশাল মাঠ, ইট ভাটাসহ খোলামেলা পরিবেশে গিয়ে কিছু সময় কাটাতে শহরবাসীরা ভিড় করেন কেরানীগঞ্জে। তাই ছুাটর দিন প্রিয়জন ও পরিজনদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন ঢাকার অদূরেই কেরানীগঞ্জে-

আরও পড়ুন: ছুটির দিনে ঘুরে আসুন সোনারগাঁও জাদুঘরে

সাউথ টাউন, কেরানীগঞ্জ

Advertisement

প্রথমেই ছুটতে পারেন কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন মসজিদে। কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন আবাসিক প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত এই মসজিদ। নান্দনিক গঠন আর অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর কারণে মসজিদটি এরই মধ্যে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় রুপে ধরা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কর্ণধার মোস্তফা কামাল মঈনুদ্দিন হচ্ছেন এর উদ্যোক্তা। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ২ বছর। আধা বিঘা জমিতে নির্মিত হয়েছে মসজিদটি।

চারপাশের খোলামেলা জায়গার মাথা উঁচু করে নিজ সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। যদিও আবাসন প্রকল্পটিতে এখনো সেভাবে জনবসতি গড়ে ওঠেনি। কিছু দূরে দেখা যায় ইটভাটা।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনের বিপজ্জনক বিচ থেকে সাবধান!

Advertisement

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মসজিদ তৈরিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এতে প্রধান ফটক আছে তিনটি। দুই পাশে আছে আরও ২টি দরজা। চারপাশে প্রচুর জানালা তৈরি করে আলো প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দু’স্তরের জানালার ফাঁক গলে আসা প্রকৃতির আলোয় ভেতরে চমৎকার এক পরিবেশ তৈরি হয়। জুড়িয়ে যায় চোখ। স্থপতির নন্দনভাবনার শৈলী ফুটে আছে গম্বুজের ভেতরের অংশেও।

সাউথ টাউনে যেতে ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে উঠতে হবে। এরপর রাজেন্দ্রপুর যেতে হবে।

রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারের একটু পরে হাতের ডান দিকেই সাউথ টাউন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পের প্রধান ফটক থেকে ৮-১০ মিনিট হেঁটে ভেতরে ঢুকতেই দূর থেকে চোখে পড়বে এই মসজিদ।

আরও পড়ুন: সঙ্গীকে নিয়ে কম খরচেই ঘুরে আসুন বাংলার দার্জিলিং

সারিঘাট

সারিঘাট হচ্ছে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রোজেক্টের পেছনের একটি স্থান। যা আইন্তা ও আড়াকুল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খালের অংশবিশেষ। খালের পাশ দিয়ে সারি ধরে করই গাছ আছে। এ কারণেই জায়গাটি সারিঘাট নামে বেশি পরিচিত।

খালের নব্যতা বাড়াতে ড্রেজিং করা হয়েছিল ও রিভার প্রজেক্টের বালু আড়াকুল গ্রামের দিকে ফেলার কারণে এখানে শরৎকালের দেখা মেলে বিস্তীর্ণ কাশবন।

খাল, বিল আর গাছপালার কারণে সেখানকার পরিবেশ অনেকটাই গ্রামীণ। যা একটু হলেও আপনার মনে প্রশান্তি জোগাবে।

আরও পড়ুন: যেসব জায়গা দিয়ে উড়তে পারে না প্লেন

সেখানে গেলে খালের ধারে দেখা মিলবে প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত গাছের সারি। একই সঙ্গে কিছু অস্থায়ী খাবারের দোকানও পাবেন। কাশবন ছাড়াও সারিঘাটে পাবেন, কায়াকিং ও নৌ ভ্রমণের সুযোগ।

সারিঘাটের শুরুতেই পড়বে কায়াকিং, ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। বিকেল বেলা ভিড় থাকে, তাই কায়াকিং করতে চাইলে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে যাবেন।

এছাড়া নৌকা ভাড়া করলে ঘণ্টা প্রতি ১০০ টাকা গুনতে হবে। তবে আগেই ভালোভাবে দামাদামি করে নেবেন।

সারিঘাটে যেতে ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ বাস স্ট্যান্ডে যাবেন কিংবা পোস্তগোলা ব্রিজের কেরানীগঞ্জ প্রান্তে গিয়ে ব্রিজের গোড়া থেকেই রিকশা নেবে।

৩০ টাকা ভাড়ায় সারিঘাট পৌঁছে যাবেন। ছুটির দিনে ৪০ টাকাও নিতে পারে। ভিড় বেশি থাকলে ভাড়া বেশি নিতে পারে। আর যদি তাড়াহুড়া থাকে তবে নৌকায় পার হতে পারবেন।

জেএমএস/এএসএম