বড় দলগুলো লেগস্পিনার দিয়েই বাজিমাত করে দিচ্ছে। লেগস্পিনাররা রান খরচ করবেন, আবার দলকে জিতিয়ে দেবেন হারা ম্যাচ। এটা মেনেই তাদের দলে নেওয়া হয়। এজন্য লেগস্পিনারদের বলা হয় ‘সাদা হাতি’। তাদের পোষা খুব কঠিন।
Advertisement
সেই কঠিন কাজটি করতে পারছে না বাংলাদেশ। জাতীয় দলে একজন লেগস্পিনারের হাহাকার কত বছর ধরে! কিন্তু সেই লেগস্পিনার আসছে কই? যে দুই-একজন আসছে, তারাও এক-দুই ম্যাচ খেলে ঝরে পড়ছে।
কিন্তু ভালো দল হতে হলে আপনার কাছে লেগস্পিনার মজুত থাকতেই হবে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশের ম্যানেজম্যান্ট সেটি উপলব্ধি করছে। দেশজুড়ে লেগস্পিনার খোঁজার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিসিবি পরিচালক এবং জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, ইয়ুথ ক্রিকেট লিগে (ওয়াইসিএল) লেগস্পিনাররা যেন বাধ্যতামূলকভাবে সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement
সুজন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ভুগছি আমাদের একজন লেগস্পিনার নেই। এখানে আমাদেরও দোষ আছে, যখন আমরা ডিভিশন লেভেলে খেলি, ইউথ লেভেলে, সবাই জিততে চায়, যেটা উন্নয়নের ক্রাইটেরিয়া না। ডেভেলপমেন্টের প্রথম ক্রাইটেরিয়াই হচ্ছে কীভাবে আপনি খেলোয়াড় তৈরি করবেন। এখন আমরা ডেভেলপমেন্ট থেকে একটা নিয়ম করে দিয়েছি, যে কোনো ম্যাচেই একজন লেগ স্পিনারকে ১২ ওভার করে বল করতে দিতেই হবে।’
‘এখন আমাদের যে ওয়াইসিএল চলছে, আপনি দেখবেন আমাদের লেগস্পিনাররা নিয়মিত বল করছে। এটা আমি মিটিং করে, আমি গিয়েছিলাম রাজশাহীতে, আমি বলেছি যেন লেগস্পিনাররা সুযোগ পায়। কারণ এখানে আমার নর্থ জোন না সাউথ জোন ওয়াইসিএল চ্যাম্পিয়ন হলো, এটা তো গুরুত্বপূর্ণ না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফোকাস এরিয়া থেকে খেলোয়াড় তৈরি করা, সুযোগ দেওয়া। কারণ লেগস্পিনাররা এমন হবে যে ওরা রান দেবে কিন্তু ওরা ম্যাচ জেতাবে। ওখানে পাপন ভাই অনেক দিন ধরে বলছিলেন, লেগস্পিনারের কথা। ওখানে আমরা জোর দিচ্ছি।’
যুব ক্রিকেটে ভালো ভালো ফাস্ট বোলার আর ব্যাটারও এসেছে, জানিয়ে সুজন বলেন, ‘আমাদের ফাস্ট বোলিং... হয়তো আপনারা জানেন না, হয়তো ওয়াইসিএলের খেলা দেখেন না। আমাদের অনেক ফাস্ট বোলার তৈরি হচ্ছে। জোরে জোরে বল করে ছেলেরা। দারুণ অ্যাকিউরেট বোলিং করে। বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে ব্যাটার আছে, যারা অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলে। সুতরাং আমি মনে করি এভরিথিং ভালো হচ্ছে।’
এমএমআর/এএসএম
Advertisement