কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় আসা কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিম আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশে ফিরবে। সব প্রক্রিয়া শেষে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তাকে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মকছেদ আলী আগামীকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ ১৯৬ ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং ফাহিমকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেবেন বলে মিশন সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, ৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর একটি সেইফ হোমে রাখা কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিমের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার হাতে খাবার তুলে দেন। এ সময় ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন, প্রথম সচিব (শ্রম) এ, এস, এম, জাহিদুর রহমান।
গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি ইন্টিগ্রা’ নামের জাহাজটি ১৭ জানুয়ারি দেশটির ক্লাং বন্দরে পৌঁছায়। ওই দিন রাতে খালি একটি কনটেইনার থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ার একটি এনজিওর সেইফহোমে তাকে রাখা হয়। সে সময় ওই কিশোরের কনটেইনার থেকে বেরিয়ে আসার কয়েকটি ভিডিও মালয়েশিয়ায় সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয় সরকার। এরপর হাইকমিশনের শ্রম শাখা থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফাহিমের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। রাতুল ইসলাম ফাহিম দুই মাস আগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বাড়ি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে পৌঁছে গিয়েছিল মালয়েশিয়ায়। মো. রাতুল ইসলাম ফাহিমের বয়স ১৪ বছর।
Advertisement
সে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের মো. ওমর ফারুক ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। পেশায় দিনমজুর ফারুকের তিন ছেলের মধ্যে ফাহিম সবার বড়। সে কিছুটা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী।
গত বছরের শেষ দিকে ফাহিম বাড়ি থেকে ‘নিরুদ্দেশ’ হয়। এরপর কিভাবে সে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে করে মালয়েশিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা পরিষ্কারভাবে কিছুই বলতে পারেননি।
এমআরএম/জিকেএস
Advertisement