প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটু হলেও চিনি রাখেন কমবেশি সবাই। বিশেষ করে চায়ের সঙ্গে চিনি না মেশালেই নয়! তবে চিনি কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়, এ কথা সবারই জানা।
Advertisement
তাহলে গুড়ও কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক গুড় নাকি চিনি কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আর কোনটি খারাপ-
আরও পড়ুন: একমাস চিনি না খেলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে
এ বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক হয় অনেকের মধ্যেই। যেহেতু গুড় ও চিনি একই জিনিস থেকে তৈরি করা হয়, তবে উভয়ের তৈরিতে ও পুষ্টিগুণেও পার্থক্য আছে।
Advertisement
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান গরিমা গোয়েরেলের মতে, আখের রস থেকে গুড় ও চিনি উভয়ই তৈরি হয়। যদিও উভয়ের প্রক্রিয়াকরণ তৈরিতে ভিন্ন। উপকারের কথা আসলে অবশ্যই গুড়ের উপকারিতা চিনির চেয়েও বেশি।
গুড় একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক শর্করা, যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। যখন চিনিতে ব্লিচিং ব্যবহার করা হয়, যার কারণে চিনিতে রাসায়নিক আসে। অর্থাৎ চিনি তৈরিতে অনেক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: নখ দেখেই বুঝে নিন শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না
Advertisement
তবে গুড় চিনির মতো তৈরি হয় না। এটি চুলায় একটি সাধারণ উপায়ে তৈরি করা হয়। এ কারণেই রক্তশূন্যতার সমস্যায় গুড় খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক ও সেলেনিয়াম থাকে।
গরিমা গোয়েল জানান, পাকস্থলীতে গুড়ের শোষণ খুব ধীরগতিতে হয়। ফলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যদিকে চিনি দ্রুত শোষিত হয় ও অবিলম্বে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এ কারণেই গুড় হলো একটি জটিল চিনি, যাতে সুক্রোজ অণুগুলো চেইনে থাকে। অন্যদিকে গুড়ের মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। চিনির ভেতরে ফাঁপা, শুধু ক্যালোরি বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: প্রথম দেখায় কি সত্যিই প্রেম হয়?
আয়ুর্বেদ অনুসারে, গুড়ের অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য আছে। যা হাঁপানি, সর্দি- কাশি ও বুকের শক্তভাব হওয়ার সমস্যা সারায়।
খাবারের পর গুড় খেলে হজমশক্তি ভালো হয় ও শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এসব কারণে চিনির চেয়ে গুড় খাওয়া অনেক ভালো।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জেএমএস/জিকেএস