রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কে আগুন লাগা ১২ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবনে ২৬টি ফ্ল্যাট ছিল। এর মধ্যে ২৩ ফ্ল্যাটে মানুষ ছিল। তাদের বেশিরভাগই নিরাপদে ভবন বের হতে পেরেছেন। ভবনটির সুপারভাইজার মো. আশরাফুল জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আগুন লাগে। এই ভবনের বি-১ ফ্ল্যাটে তানজির খান, বি-২ রাশিদুল হাসান, বি-৩ ও বি-৪ খালি, বি-৫ আজমত আলী, বি-৬ জিহাদ খান, বি-৭ ফরিদা, বি-৮ ও বি-৯ সাকিব মোনায়েম, বি-১০ ও বি-১১ জাকির আহমেদ, বি-১২ ও বি-১৩ শাহিন, এ-১ নাজ, এ-২ খালি, এ-৩ জলি, এ-৪ ওয়াসিম, এ-৫ ডা. তানভীর, এ-৬ তার্কিজ, এ-৭ সাজু আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাদের বেশিরভাগই নিরাপদে ভবন থেকে বের হতে পেরেছেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিরে প্রচেষ্টায় রাত ১১টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমাদের ফায়ার ফাইটাররা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তারা এখন উদ্ধারকাজ করছেন। তারা ভবনের প্রতিটি তলায় পরীক্ষা করছেন। কেউ আটকে আছে কি না সেগুলো দেখা হচ্ছে। আটকে থাকলে তাদের উদ্ধার করা হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে একজন নবজাতক রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে পানির ব্যবস্থা ছিল না। ফলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়, আগুন লাগা ভবনে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। তারা ভবনের বাসিন্দাদের উদ্ধারে কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ১১টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
এমএমএ/বিএ/কেএসআর
Advertisement