আন্তর্জাতিক

উদ্ধারকাজ শেষ না হতেই সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫

ভূমিকম্পের ফলে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। এর মাঝে খবর পাওয়া গেলো দেশটির রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫ জন নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার ভোরে দামেস্কের কাফর সুসা আবাসিক এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের কাছেই ইরানি স্থাপনাগুলোর পাশে বড়, কড়া পাহারার একটি নিরাপত্তা কমপ্লেক্স রয়েছে।

আরও পড়ুন> ভূমিকম্পে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ বাস্তুচ্যুতের শঙ্কা

সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, মধ্যরাতের পরপরই ইসরায়েল রাজধানীতে বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়। এতে বেসামরিক লোকদের মধ্যে পাঁচজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ হামলায়।

Advertisement

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, ‘রোববারের হামলা সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।’

কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ইরানপন্থি হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহ ২০০৮ সালে কাফর সুসাতে বোমা হামলায় নিহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কড়া পাহারার এ এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি ইরানি নিরাপত্তা সংস্থা রয়েছে।

ইসরায়েলের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই সেনাসহ চারজন নিহত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পর এ হামলার ঘটনা ঘটলো।

আরও পড়ুন> ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়তে নাম লিখিয়েছে ৪০ হাজার সিরীয়

এদিকে, সিরীয় সরকার ও জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে মারা গেছেন ৫ হাজার ৮০০ জন। তবে কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম সাহায্য পৌঁছায়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

সিরিয়ার যুদ্ধ চলছে প্রায় ১১ বছর ধরে। দেশটির বাশার আল-আসাদ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া ও ইরান। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাশার আল-আসাদবিরোধী। তাদের সঙ্গে রয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি আরব দেশ।

২০১১ সালের মার্চে দেশটিতে যে সংকটের সূচনা হয়েছিল তার সুরাহা হয়নি এখনো। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২২ সালেরর শুরুর দিকে সিরিয়ার ১ কোটি ৪৬ লাখের বেশি মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। প্রায় ৫ লাখ সিরীয় শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লাখ সিরীয়।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/এমএস