খেলাধুলা

‘আম্পায়ারিং বেশ উপভোগ করছি’

ক্রিকেট ছেড়েছেন বেশিদিন হয়নি। ২০১৭ সালে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের জার্সিতে সর্বশেষ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন চম্পা চাকমা। রাঙ্গামাটির ৩০ বছর বয়সী জাতীয় দলের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার এখন ক্রিকেটের সঙ্গেই নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চাচ্ছেন এবং সেটা আম্পায়ারিংয়ের মাধ্যমে।

Advertisement

২০২১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার কোয়ালিফায়িং কোর্স করেছেন। দেশে এখন ২০ জন কোয়ালিফাইড নারী আম্পায়ার রয়েছেন। এর মধ্যে যে ৭ জন খেলা পরিচালনা করছেন, তাদের একজন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। ২০১০ সালে গুয়াংঝু এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে রৌপ্যজয়ী বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য জাগো নিউজকে বলেছেন তার আম্পায়ার হওয়ার গল্প।

জাগো নিউজ: ক্রিকেট খেলা ছেড়ে এখন আম্পায়ারিং করছেন। ক্যারিয়ারের নতুন এই অধ্যায়কে কিভাবে দেখছেন?চম্পা চাকমা: খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছিলাম। বিসিবি নারী আম্পায়ারদের জন্য দুই বছর আগে যে কোর্স আয়োজন করেছিল সেখানে অংশ নিয়ে কোয়ালিফাই করেছি। এখন আম্পায়ারিংয়ের মধ্যে দিয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা আমার।

জাগো নিউজ: ক্রিকেট খেলেছেন, ক্রিকেটের আম্পায়ারিং করছেন। কোনটাকে কিভাবে দেখছেন?চম্পা চাকমা: দুটো কাজের অনুভূতি দুই রকম। আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা বেশি। এখানে প্রতিটি মুহূর্ত সতর্ক থাকতে হয় নিঁখুতভাবে খেলা পরিচালনার জন্য। তবে আমি আম্পায়ারিং বেশ উপভোগ করছি।

Advertisement

জাগো নিউজ: আপনি ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। খেলেছেন জাতীয় লের লাল-সবুজ জার্সিতেও। জাতীয় দল ও ক্লাব ক্রিকেটে খেলা নিয়ে যদি কিছু বলেন।চম্পা চাকমা: আমি ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবাহনী, আনসার ভিডিপি ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হয়ে খেলেছি।

জাগো নিউজ: নারী ক্রিকেটে বড় একটা অর্জন ছিল ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে রৌপ্য পদক লাভ। আপনি ছিলেন সেই দলে। ওই গেমসের অভিজ্ঞতা যদি বলেন।চম্পা চাকমা: মনে আছে। আমরা চীনকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলাম। স্বর্ণ জেতার ভালো সুযোগ ছিল আমাদের। কিন্তু ফাইনালে হেরে যাই পাকিস্তানের কাছে।

জাগো নিউজ: আম্পায়ার হিসেবে এ পর্যন্ত কয়টা ম্যাচ পরিচালনা করেছেন?চম্পা চাকমা: আমি প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেছিলাম গত বছর ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ মেট্রোপলিটন লিগে। বিসিবির ডেভেলপমেন্ট ক্রিকেটে অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৮ খেলাও পরিচালনা করেছি। রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ছেলেদের তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগেও খেলা পরিচালনা করেছি। এ পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ পরিচালনা করেছি।

জাগো নিউজ: আপনি তো চাকরি করছেন। চাকরির পাশাপাশি আম্পায়ারিং নিশ্চয়ই কঠিন?চম্পা চাকমা: আমি চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিরিয়ারিং কলেজে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত আছি। এখান থেকে ম্যাচ পরিচালনা করতে ঢাকায় গেলে কষ্ট তো হয়ই। তবে আম্পায়ারিংয়ের স্বার্থে কষ্টকে মেনে নিতেই হবে। আমি মেনে নিয়েই আম্পায়ারিংয়ের সঙ্গে থাকতে চাই।

Advertisement

জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।চম্পা চাকমা: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরআই/এমএমআর/এএসএম