আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। অপু সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এতে বেজায় চটেছেন বুবলী। এই মন্তব্যের কারণে তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেন।
Advertisement
বুবলী তার স্ট্যাটাসে লেখেন, আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণ করব, কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায় তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে। যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
এসব নোংরামী পাত্তা দেবার রুচি থাকে না বলেই কথা বলা হয় না কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল।
Advertisement
আরও পড়ুন: শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্কের সব কথা খোলামেলা জানালেন বুবলী
বুবলী আরও লেখেন, আশেপাশে হাজার কিছু হলেও দিন শেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা এমনকি নাওয়া খাওয়া থাকে না আমার চিন্তায়।
নিজের পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে বুবলী লেখেন, আর হ্যাঁ! আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনোই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেক বার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি, গিরগিটির মতো রং বদলাতে শেখায়নি।
কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি। বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি।
Advertisement
আরও পড়ুন: শাকিব-অপুর বিয়ের ইস্যুতে নিশ্চুপ বুবলী
হিংসামী শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি। কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি, তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।
অনেকটা ক্ষেপে গিয়ে বুবলী বলেন, কিন্তু আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত। কারণ এসব যে পারে সে অনায়েসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যামের মতো এতো সিনিয়র ব্যক্তিত্ব নিয়ে অপমানজনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে, কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মতো এগিয়া যাওয়া নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যারকে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে যা কিনা রীতিমতো তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্থাপন করে, এজন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়।
কত বাজে নিচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটূক্তি করতে ছাড়েনি, কিছুদিন আগে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে আমার সন্তানকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাদরের মতো মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: অপুকে সরিয়ে আবারো শাকিবের নায়িকা বুবলী
একজন মায়ের ভূমিকা নিয়ে নিজের অবস্থান সম্পর্কে বুবলী লেখেন, আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কি করবো বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কি করবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
সারাক্ষণ নানান মিথ্যা বানোয়াট উস্কানীমূলক ব্যক্তির বিষয়ে কথা বলে অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে না, সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে কিন্তু পরে বলবে সে মানুষকে ছোট করে কথা বলে না।
একেক সময় একেক রং ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরূপী নিচু মানসিকতার ব্যক্তিই পারে।
এমএমএফ/এএসএম