খেলাধুলা

লংকাবধ করে ফাইনালের পথে বাংলাদেশ

ক্যাচ মিস কি তবে ম্যাচ মিস নয়! নিশ্চিত-অনিশ্চিত মিলিয়ে কম করে হলেও ৫টি ক্যাচ মিস। তবুও দলীয় পারফরম্যান্সের চূড়ান্ত এক নিদর্শন স্থাপন করলো টিম বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটের পর টি-টোয়েন্টিতেও যে বাংলাদেশ দুর্দান্ত হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে তার স্বাক্ষরও রচিত হয়ে যাচ্ছে। শ্রীলংকার মতো শক্তিশালী একটি দলকে ২৩ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালের পথে অনেকদূর এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ।এই শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশের খুব বেশি পার্থক্য নেই। মাহেলা জয়াবর্ধনে আর কুমার সাঙ্গাকারার বিদায়ের পর ম্যাড়ম্যাড়ে দলটিকে আর বিশ্বমানের বলা যায় না। তবুও এই দলটিকে একটু আলাদা করা হয় লাসিথ মালিঙ্গা আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের কারণে। প্রবীণদের প্রতিনিধি হয়ে রয়েছেন তিলকারত্নে দিলশান। কিন্তু দিলশানেরও এখন পড়ন্ত বেলা। তাকে নিয়ে বাজি ধরার সাহস পায় না কেউ। মালিঙ্গা খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। সুতরাং, সমমানের হয়ে ওঠা একটি দলের বিপক্ষে জয়টা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিতই।তবুও শঙ্কা ছড়িয়ে গিয়েছিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর প্রথম দুই ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়া বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত সাব্বির রহমান (৮০) আর সাকিব আল হাসানের (৩২) ব্যাট উদ্ধার করে নিয়ে আসে। শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ ঝড় ১৪৭ রানের বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে দেয় শ্রীলংকার সামনে।জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামে শ্রীলংকা। তবে শুরু থেকেই ক্যাচ মিসের মহড়া দিতে থাকে বাংলাদেশ। দিলশান, চান্ডিমালদের একের পর এক ক্যাচ মিস সত্ত্বেও দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে বাংলাদেশকে অসাধারণ জয় এনে দিল। একই সঙ্গে টিকিয়ে রাখলো ফাইনালের সম্ভাবনা। মূলত নিয়মিত উইকেট হারানোর ফলেই ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে আটকে গেলো শ্রীলংকা। শুধু তাই নয়, আটকে গেলো মাশরাফির বুদ্ধিমত্তা আর মুস্তাফিজের কাছেও। প্রথম ১৩ ওভারে মুস্তাফিজকে বোলিং করিয়েছেন মাত্র ১ ওভার। শেষ ৭ ওভারের তিনটিই করেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। উইকেট ১টি পেলেও ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তিনিই লংকানদের ব্যাটিংয়ের ১২টা বাজান।সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে ছন্দে ফিরেছেন সাকিবও। ৩২ রান করার পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব। ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের দুর্দান্ত ক্যাচটি তালুবন্দি করে বাংলাদেশের জয়ে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন।১৪৭ রানের জবাবে শ্রীলংকা ব্যাট করতে নামার পর প্রথম দুই ওভারেই দুটি ক্যাচ মিস করলো বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্লিপে দিনেশ চান্ডিমালের সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আবারও স্লিপে ক্যাচ। এবার একটু কঠিন হলেও হাফ চান্স কাজে লাগাতে পারলেন না মাহমুদুল্লাহ। বেঁচে গেলেন দিলশান।অবশেষে ক্যাচ ধরতে সক্ষম হলেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানকে আক্রমণে নিয়ে আসেন মাশরাফি। তার করা ওভারের প্রথম বলেই শট খেলতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন দিলশান। অনেকটুকু দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার। ২০ রানে পড়লো শ্রীলংকার প্রথম উইকেট।এরপর আরও কয়েকটি ক্যাচ পড়লেও বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৪ রানে থমকালো লংকানরা।আইএইচএস/এবিএস/বিএ

Advertisement