কুড়িগ্রামে বেড়েছে ভুট্টা চাষ। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের কৃষক। গম, তিল, সয়াবিন ও বোরো ধান চাষের চেয়ে ভুট্টায় কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বেড়েছে ভুট্টা চাষ। চরাঞ্চলের পতিত জমি ও বালুচরে হচ্ছে ভুট্টা চাষ। ফলে বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
Advertisement
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ভুট্টা চাষ হয়েছিল ৯ হাজার হেক্টর জমিতে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর জেলায় ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০০ হেক্টর বেশি।
সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের চর কদমতলা গ্রামের ভুট্টা চাষি মো. মতিয়ার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছর ৫ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করে দাম ভালো পেয়েছি। এবার ভুট্টার চাষ আরও বাড়িয়ে ১০ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। আশা করছি গত বছরের তুলনায় ফলন ও দাম ভালো পাবো।’
আরও পড়ুন: তরমুজে ঘুরবে বরগুনার অর্থনীতির চাকা
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘ভুট্টা চাষে বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। গত বছর বিঘাপ্রতি ২৮-৩০ মণ ভুট্টা পেয়েছি। বাজারে বিক্রি করে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এ বছর সার, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম যে হারে বেড়েছে; সে তুলনায় ভুট্টার দাম বাড়লে বেশ লাভবান হবো।’
আরেক ভুট্টা চাষি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গত বছর ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। অন্যের লাভবান হওয়ার কথা শুনে এ বছর ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভবান হবো।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘এ বছর চরাঞ্চলগুলোয় ভুট্টার চাষ বেড়েছে। আমরা সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের মাঝে সার, বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছি। আশা করছি এ বছর কৃষকরা আরও লাভবান হবেন। আগামীতে জেলায় ভুট্টা চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে।’
ফজলুল করিম ফারাজী/এসইউ/এএসএম
Advertisement